যাত্রী স্বাচ্ছন্দ বাড়াতে মহামানা এক্সপ্রেসের পর এ বার অন্য তিনটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা ভারতীয় রেল। যাত্রাপথে ২৫ রকমের চা পানের প্রতিশ্রুতি ছাড়াও ওই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে বিছানা-কম্বল কেনার পাশাপাশি বোর্ডিং স্টেশন পাল্টানোর সুযোগও।
আগে ট্রেনে কেবলমাত্র দু’একটি স্বাদের চা পাওয়া যেত। এ বার থেকে প্রায় ২৫ রকম স্বাদের চা মিলবে যাত্রাপথে। বর্তমানের আদা চা, মশলা চায়ের সঙ্গেই মিলবে আম পান্না বা মির্চি চা। এ ছাড়া বাতানুকুল শ্রেণিতে যাতায়াতকারীদের জন্যেও রয়েছে সুখবর। আগে রেলের বাতানুকুল কামরায় যাতায়াতের সময় বিছানার একটা চাদর, আর সঙ্গে একটা করে বালিশ ও কম্বল দেওয়া হত। এবং সেটা বিনামূল্যে। গন্তব্যে পৌঁছে সেই চাদর-বালিশ-কম্বল ফের রেলকর্মীদের ফেরত দিতে হত। এ বার থেকে ওই তিনটে জিনিসই বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে। তবে তার জন্য দিতে হবে ২৫০ টাকা। আলাদা ভাবে শুধু বালিশ-চাদরও মিলবে। দিতে হবে ১৫০ টাকা। আর ১০০ টাকা দিতে হবে কম্বলের জন্য।
পাশাপাশি, এ বার থেকে পাল্টানো যাবে বোর্ডিং স্টেশনের নামও। সংরক্ষিত টিকিট কাটার সময় বোর্ডিং স্টেশনের নাম লিখতে হয়। এক বার টিকিট কাটা হয়ে গেলে সেটা এত দিন পাল্টানো যেত না। এ বার থেকে তা পাল্টানো যাবে। তবে শুধুমাত্র অনলাইন টিকিটের ক্ষেত্রেই এটা সম্ভব হবে। এবং যাত্রা শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে।
মহামানা এক্সপ্রেসের বাতানুকুল কামরা
গত মাসেই মহামানা এক্সপ্রেসের সূচনা হয়। বারাণসী থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত ওই ট্রেনটি মদনমোহন মালব্যের নামে নামাঙ্কিত করা হয়। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মনোজ সিন্হা এই মুহূর্তে রেল প্রতিমন্ত্রী। তিনি-ই ট্রেনটির নামকরণ করেছেন। বিশ্বমানের ইন্টেরিয়র ডেকরেশন করা হয়েছে এই ট্রেনে। কামরার শৌচালয় থেকে স্লিপার কোচের ডিজাইন, তার নকশা সবই অন্য রকম। চড়া মাত্রই কেমন বিদেশি অনুভূতি। আগামী দিনে এমন ট্রেন অন্য রুটেও চালানো হবে বলে রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর।
রেল বাজেট এই মাসেই। তার আগে আইআরসিটিসি-র নতুন তিন প্রকল্পে উত্সাহিত বোধ করছেন যাত্রীদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy