খরা এবং ঋণ। এই দুয়ের জেরে শুধু এপ্রিল মাসেই ৬৫ জন চাষি আত্মঘাতী হয়েছেন মরাঠাওয়াড়ায়! এ বছরের জানুয়ারি থেকে ধরলে সংখ্যাটা ৩৩৮! পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসনের কর্তারা বিধ্বস্ত ওই সব জেলা রীতিমতো চষে বেড়াচ্ছেন। মেডিক্যাল টিম নিয়ে চাষিদের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা। মানসিক ভাবে তাঁদের উদ্দীবিত করার চেষ্টা চলছে। এমনকী, আত্মঘাতী চাষির পরিবারের সঙ্গেও কথা বলছেন ওই আমলারা।
সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চাষি আত্মঘাতী হয়েছেন মহারাষ্ট্রের বীড় জেলায়। সেখানে আত্মঘাতী চাষির সংখ্যা ৮৩। এর পরেই রয়েছে নন্দেদ। এই জেলায় আত্মঘাতী হয়েছেন ৫৫ জন চাষি। ওসমানাবাদে আত্মঘাতী হয়েছেন ৫০ জন। গত বছর একই কারণে এই মরাঠাওয়াড়া অঞ্চলে ৫৬৯ জন আত্মঘাতী হয়েছিলেন।
কিন্তু, বার বার কেন এই অঞ্চলের চাষিরাই আত্মহত্যাকে বেছে নিচ্ছেন?
সেই কারণ খুঁজতেই দু’টি জেলাকে বেছে নিয়েছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। তার মধ্যে ওসমানাবাদও রয়েছে। গোটা জেলা জুড়ে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, যে ৩৩৮টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ১৪৬টি ক্ষেত্রে চাষির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১১৭টি ঘটনা এখনও বিবেচনাধীন রয়েছে। তবে, ৭৫টি ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
চাষিরা যাতে কোনও পরিস্থিতিতেই মানসিক ভাবে ভেঙে না পড়েন, অবসাদে আত্মহত্যার রাস্তা না বেছে নেন, সে কারণে গ্রামে গ্রামে মানসিক ভাবে উজ্জীবিত করার কাজে নেমেছে প্রশাসন। সরকারি এবং বেসরকারি চিকিত্সকদের নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে মেডিক্যাল টিম। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যাপারে চাষি পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই এই ব্যবস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy