দুধ দেয় এমন প্রায় চার কোটি গাভী রয়েছে দেশে। তাদের আধারের মতো একটি নম্বর দেওয়ার জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।
‘পশু সঞ্জীবনী’ নামে এই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই প্রযুক্তি হাতে পেয়েছে কৃষি মন্ত্রক। প্রত্যেক গাভীর জন্য সস্তা অথচ বদলানো যাবে না এমন পলিইউরিথিনের কার্ড তৈরি হবে। তাতে গরুর জাত, বয়স, লিঙ্গ, উচ্চতা এবং দেহের বিশেষ চিহ্নের উল্লেখ থাকবে। প্রতি কার্ডের জন্য খরচ হবে ৮ থেকে ১০ টাকা।
কৃষি মন্ত্রকের অফিসারেরা জানিয়েছেন, গবাদি পশুপালন ও মৎস্য চাষে সংস্কারের জন্য বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। সে জন্য এই ক্ষেত্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কেবল কৃষির আয় থেকে এই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব নয় বলেই ধারণা কৃষি মন্ত্রকের।
‘পশু সঞ্জীবনী’ প্রকল্পের পাশাপাশি পশুপালনের পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। গরুর মান উন্নয়নের জন্য কৃত্রিম উপায়ে প্রজননকে (আর্টিফিসিয়াল ইনসেমিনেশন) গুরুত্ব দিতে চাইছে কেন্দ্র।
কৃষি মন্ত্রকের ‘রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশন’-এর দাবি, ভারতীয় গরুর দুধ উন্নত মানের। কারণ, তাদের খাদ্যে একটি বিশেষ ধরনের প্রোটিনের উপস্থিতি বেশি। গির, সাহিওয়াল, রাথি, দেওনি, থারপারকার, লাল সিন্ধির মতো উন্নত প্রজাতির গরুকে প্রজননে বেশি ব্যবহার করে মান আরও বাড়াতে চাইছে মন্ত্রক।
কৃষি আন্দোলনকারী কবিতা কুরুগান্টির মতে, কৃষি খাতে বরাদ্দের মধ্যে পশুপালনের বরাতে জোটে মাত্র ৫.৪ শতাংশ। অথচ অধিকাংশ ছোট চাষির কাছে গবাদি পশুই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৫ সালে গরু পাচার রুখতে গবাদি পশুর জন্য আধারের মতো একটি নম্বর তৈরির সুপারিশ করেছিল এক বিশেষজ্ঞ কমিটি। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, কোনও পশুকে নথিবদ্ধ করার দায়িত্ব মালিকেরই। সে ক্ষেত্রে পশু বিক্রি বা হস্তান্তর করলে নতুন মালিকের হাতে নথিবদ্ধকরণের প্রমাণ তুলে দিতে হবে পুরনো জনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy