Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
National News

ব্যাঙ্কে টাকা রাখতেন স্বামীই, জানালেন বিমানসেবিকা

তল্লাশি অভিযানে বিপুল অঙ্কের ডলার-সহ ধরা পড়েছিলেন দেবেশী কুলশ্রেষ্ঠ নামে বছর পঁচিশের এক বিমানসেবিকা। এ বার তদন্তে উঠে এল জেট এয়ারওয়েজেরই আরও দুই বিমান কর্মীর নাম।

পাচারে জড়িত আরও দুই বিমানকর্মী। দেবেশীকে জেরা করে জানল ডিআরআই।

পাচারে জড়িত আরও দুই বিমানকর্মী। দেবেশীকে জেরা করে জানল ডিআরআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ১৯:৪৯
Share: Save:

বিমানসেবিকার ব্যাগেই পাচার হচ্ছে কোটি কোটি ডলার। এমন খবর পেয়ে মধ্যরাতেই জেট এয়ারওয়েজের বিমানে হানা দিয়েছিলেন ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর কর্তারা।

তল্লাশি অভিযানে বিপুল অঙ্কের ডলার-সহ ধরা পড়েছিলেন দেবেশী কুলশ্রেষ্ঠ নামে বছর পঁচিশের এক বিমানসেবিকা। এ বার তদন্তে উঠে এল জেট এয়ারওয়েজেরই আরও দুই বিমান কর্মীর নাম।

গত রবিবার রাত তিনটে নাগাদ দিল্লি থেকে হংকং যাওয়ার কথা ছিল জেট এয়ারওয়েজের বিমানটির। তার আগে বিমান উঠে ডিআরআই-এর গোয়েন্দারা দল দেবেশীকে গ্রেফতার করে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩ কোটি ২১ লক্ষ টাকার মূল্যের ডলার। যে ব্যক্তির টাকা নিয়ে দেবেশী হংকং যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ, সেই অমিত মলহোত্রকেও গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন:

প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্যাড পাঠিয়ে প্রতিবাদের পথে পড়ুয়ারা

কোষাগারে টান, বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা, পরামর্শের সন্ধানে প্রধানমন্ত্রী নিজেই

ডিআরআই সূত্রে খবর, জেরায় দেবেশী জানিয়েছেন দীর্ঘ দিন ধরেই এই ডলার পাচারের কাজ করছেন তিনি। হাওয়ালা কর্তা অমিতের থেকে নেওয়া বিপুল অঙ্কের টাকা ব্যাঙ্কে জমা করতেন তাঁর স্বামীই। দেবেশীর দাবি, ওই টাকা কোথা থেকে আসছে সেই বিষয়ে তাঁর স্বামী নাকি কিছুই জানতেন না। পরে সেই টাকা, খাবারের ফয়েলে মুড়িয়ে পাচারের কাজ চলত। আর ওই কাজে তাঁকে সঙ্গ দিতেন বিমানেরই আরও দুই কর্মী।

তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, এক বছর আগে জেট এয়ারওয়েজেরই এক প্রাক্তন কর্মীর সঙ্গে বিয়ে হয় দেবেশীর। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। হাওয়ালা কর্তা অমিতের সঙ্গে দেবেশীর আলাপ মাস ছয়েক আগে একটি উড়ানে। মোটা টাকার বিনিময়ে বিদেশে ডলার পাচারের জন্য দেবেশীকে রাজি করিয়েছিলেন অমিত। গত দু’মাসে প্রায় সাত বার এ ভাবে অমিতের কাছ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার দেবেশী হংকংয়ে পৌঁছে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। প্রতি বার এই কাজের জন্য এক লক্ষ টাকা পেতেন দেবেশী। ডিআরআই জানিয়েছে, দেবেশী ছাড়াও অমিতের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জেট এয়ারওয়েজের আরও কয়েক জন বিমানকর্মীর। ওই যোগাযোগের ভিত্তিতেই বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচারের কাজ করতেন তিনি। অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েলে মুড়িয়ে ওই পাচারের কাজ চলত। যে হেতু, পাইলট এবং বিমানকর্মীদের ব্যাগে করে খাবার এবং জল নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র রয়েছে। তাই নিরাপত্তাকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে বিমানসেবিকা জানাতেন তাঁর ব্যাগে খাবার রয়েছে।

ডিআরআই-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তল্লাশি চালিয়ে দেবেশীর কাছে ফয়েলে মোড়া ওই রকম ৩২টি বান্ডিল নোট উদ্ধার হয়েছে, আরও ১৬টি বান্ডিল পাওয়া গিয়েছে তাঁর হাত ব্যাগের মধ্যে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE