Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
National News

ফাঁস দিয়ে খুন করে ছেলের দেহ পোড়াল মা!

ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কোল্লাম জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থানায় এসে জয়া এবং স্বামী জন জব জানান যে তাঁদের ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার থেকে তার কোনও খোঁজ মিলছে না বলে জানান তাঁরা।

বচসা চলাকালীন নিজের ছেলেকেই শ্বাসরোধ করে খুন করল মা। পরে পোড়ানো হল সেই দেহ। প্রতীকী ছবি।

বচসা চলাকালীন নিজের ছেলেকেই শ্বাসরোধ করে খুন করল মা। পরে পোড়ানো হল সেই দেহ। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
কোল্লাম শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:১২
Share: Save:

শাসন করতে গিয়ে নিজের ছেলেকেই শ্বাসরোধ করে খুন করলেন মা। শুকনো খড়কুটো জ্বেলে সেই দেহ পুড়িয়েও দিলেন। আর এই গোটা কাজটাই একার হাতে করলেন বছর বিয়াল্লিশের জয়া মোল।

ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কোল্লাম জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থানায় এসে জয়া এবং স্বামী জন জব জানান যে তাঁদের ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার থেকে তার কোনও খোঁজ মিলছে না বলে জানান তাঁরা।

পুলিশ জানিয়েছে, কোল্লাম জেলাতেই স্বামী জন এবং ছেলে জিতুর সঙ্গে থাকেন জয়া। বছর চোদ্দর জিতু নবম শ্রেণির ছাত্র। তদন্তে নেমে খটকা লাগে পুলিশের। বাড়ির পিছনের দিকে বাগানে জিতুর জুতো খুঁজে পাওয়া যায়। জয়ার কথাতেও বেশি কিছু অসঙ্গতি ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর হাতে পোড়া দাগও ছিল। কী ভাবে হাত পুড়েছে জানতে চাইলে গোটা ব্যাপারটাই এড়িয়ে যান তিনি।

আরও পড়ুন:

হরিয়ানায় মুখ্যমন্ত্রীর গ্রামে লোকশিল্পীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার

আতঙ্কের চৌকাঠে লড়াইয়ের ডাক

কোল্লাম পুলিশ কমিশনার এ শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, জনদের বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরত্বে একটি দগ্ধ দেহের খোঁজ পাওয়া যায়। সেই দেহ ছেলে জিতুর বলেই শনাক্ত করেন তাঁর বাবা। এর পরেই জয়ার উপর সন্দেহ আরও জোরদার হয় পুলিশের। জেরার মুখে প্রথমে অস্বীকার করলেও পড়ে ভেঙে পড়েন তিনি। পুলিশকে জয়া জানান যে, তিনিই নিজের হাতে ছেলেকে খুন করেছেন।

ঠিক কী ঘটেছিল ওই দিন? জয়ার থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনে চমকে ওঠেন অফিসারেরা। জেরায় জয়া জানায়, গত সোমবার জিতুর সঙ্গে কোনও একটা বিষয়ে তাঁর তর্ক শুরু হয়। ছেলে কিছুতেই কথা শুনছিল না। তাই তাঁর মাথা গরম হয়ে যায়। ছেলেকে প্রথমে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি। পরে সেই দেহ টেনে নিয়ে যান বাড়ির পিছনের বাগানে। সেখানে, শুকনো পাতা এবং নারকেল ছোবড়া জড়ো করে মৃতদেহ পুড়িয়ে দেন। পরে দেহের অবশিষ্টাংশ বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে ফেলে দিয়ে আসেন। সন্ধেবেলা স্বামী বাড়ি ফিরলে তিনি জানান, যে তাঁদের ছেলে দোকানে জিনিস কিনতে গিয়েছিল। আর ফিরে আসেনি।

পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় জয়া বলেছে যে তাঁর ছেলেই তাঁকে নানা ভাবে উত্যক্ত করছিল। তাই তিনি মাথার ঠিক রাখতে পারেননি। কিন্তু জয়ার স্বামী জনের দাবি, তাঁর স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। ছেলের সঙ্গে প্রায়ই তাঁর বাগবিতণ্ডা লেগে থাকত। কিন্তু, এই ভাবে নিজের ছেলেকেই খুন করবেন জয়া, সেটা তাঁর কাছেও অবিশ্বাস্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE