Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
National News

লোকপাল নিয়োগ নিয়ে বৈঠক ১ মার্চ, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র

গত এক বছর ধরে লোকপাল আইনি সংশোধনী নিয়ে বসে আছে। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। লোকপাল নিয়োগে বিলম্বের কারণ জানতে কেন্দ্রকে যাবতীয় তথ্য পেশের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৫:১৭
Share: Save:

লোকপাল নিয়োগ বিধি নিয়ে জট কাটাতে আগামী ১ মার্চ বৈঠকে বসবেন নিয়োগ কমিটির সদস্যেরা। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টকে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। লোকপাল নিয়োগ কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির মুখোমুখি হবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি।

ইউপিএ সরকারের শেষ পর্বে, ২০১৩-য় লোকপাল ও লোকায়ুক্ত আইন পাশ হলেও, মোদী জমানায় লোকপাল গঠন হয়নি। উল্টে এক বছর আগে আইন সংশোধনের জন্য বিল আনে মোদী সরকার। তাতে সরকারি কর্মী, ট্রাস্টি এবং এনজিও-র পরিচালন পর্ষদের সদস্যদের সম্পত্তির হিসেব দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব ছিল।

গত এক বছর ধরে লোকপাল আইনি সংশোধনী নিয়ে বসে আছে। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। লোকপাল নিয়োগে বিলম্বের কারণ জানতে কেন্দ্রকে যাবতীয় তথ্য পেশের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।

অণ্ণা হজারের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সংসদে লোকপাল আইন পাশ হয়েছিল ২০১৩ সালে। তারপর নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসেন ২০১৪ সালে। লোকপাল আইন প্রণয়নের দাবিতে অণ্ণা হজারে যখন আন্দোলন করছিলেন তখন তাঁকে সমর্থন করে বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবার। কিন্তু, মোদী ক্ষমতায় আসার পর প্রশ্ন ওঠে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা না থাকার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে কোনও দলকে ন্যূনতম ১০% (৫৫টি) আসন পেতেই হবে। কিন্তু ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কোনও বিরোধী দলই ওই সংখ্যক আসন পায়নি। সর্বাধিক আসন পায় কংগ্রেস। কিন্তু তাদের ৪৪টি আসনও প্রয়োজনীয় আসন সংখ্যার থেকে যথেষ্টই কম ছিল। বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে মরিয়া কংগ্রেস বার বার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন:

লোকপাল নিয়োগ নিয়ে বৈঠক ১ মার্চ, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র

রাজস্থানের সচিবালয়ে ‘ভূত’! ভয়ে কাঁটা মন্ত্রীরা

লোকপাল আইনের স্বার্থে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদ নিয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেসের লড়াইয়ে ‘মধ্যস্ততা’ করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতার পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘসূত্রিতা না করে বিরোধী দলনেতার পদ বাদ দিয়েই লোকপাল আইন পাশ করা যাবে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ২০১৩ সালে লোকপাল বিল পাশ হওয়ার পর থেকে পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু লোকপাল নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একই জায়গায় রয়ে গিয়েছে কেন্দ্র।

কংগ্রেস নেতাদের ব্যাখ্যা, ইউপিএসরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সে সময় বিজেপি লোকপাল বিল নিয়ে হইচই করেছিল। ইউপিএসরকার লোকপাল বিল পাশ করালেও সেটা বিজেপির জয় বলেই প্রচার করেছিলেন মোদী। এখন তিনিই লোকপাল বিল নিয়ে নীরব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE