ফাইল চিত্র
শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা। রাস্তা দিয়ে শাঁ শাঁ করে একটা মোটরবাইক ছুটছে। সওয়ারি তিন জন। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা আর দু’জন পুরুষ। বাইকের সিটের মাঝখানের ব্যক্তির মাথাটা এলানো সিটের সামনে বসে থাকা ছেলেটির উপর। মাঝের ব্যক্তির পা দু’টো রাস্তা দিয়ে হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে যাচ্ছে, অথচ কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই বাকি দু’জনের!
দূর থেকে প্রচন্ড গতিতে ছুটে আসতে দেখে বাইকটিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন রাস্তায় টহলরত দুই পুলিশকর্মী। কিন্তু তাঁদের পাশ কাটিয়ে হুশ করে বেরিয়ে যায় বাইকটি। সন্দেহ হওয়ায় বাইকটিকে ধাওয়া করেন পুলিশকর্মীরা। প্রায় ২ কিলোমিটার ধাওয়া করার পর বাইক আরোহীদের যখন পাকড়াও করেন, তখন ওই পুলিশকর্মীদের চক্ষু চড়কগাছ। বাইকে তিন জন সওয়ারি থাকলেও, তাঁদের মধ্যে এক জন মৃত! একটু চেপে ধরতেই বাকি দুই আরোহী পুরো বিষয়টি পুলিশকে বলে ফেলে। ঘটনাটি হায়দরাবাদের।
ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ জানিয়েছে, বাইক আরোহীদের মধ্যে ছিলেন পুলাইয়া মেনদেম, স্ত্রী প্রভল্লিকা মেনদেম এবং তাঁর এক ভাইপো। এই ভাইপোর সঙ্গেই প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল পুলাইয়ার স্ত্রীর। সেটা কোনও ভাবে জানতে পারেন তিনি। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক অশান্তি হত মাঝে মাঝে। কী ভাবে পুলাইয়াকে সরানো যায় ছক কষছিলেন প্রভল্লিকা। সঙ্গে নেন ভাইপোকেও। শনিবার সেই সুযোগটাও এসে গেল। পুলাইয়াকে ব্যাপক মারধর করেন তাঁরা। পেটাতে পেটাতে মেরেই ফেলেন পুলাইয়াকে। এর পর দেহ লোপাট করতে আরও এক ফন্দি আঁটেন। খুব প্রয়োজন আছে এই বলে এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে বাইক নেন প্রভল্লিকা। তার পর পুলাইয়াকে সিটের মাঝখানে বসান। তার পর বাইকে করে শুনশান রাস্তা দিয়ে কোথাও ফেলে আসার জন্য রওনা দেন। কিন্তু পথে পুলিশের হাতে পড়ে সব ছক ভেস্তে যায়।
আরও পড়ুন- কার্ফু উঠে যেতেই কাশ্মীরের বাজারে নামল মানুষের ঢল
আরও পড়ুন- এবার দুর্গা মা নতুন রূপে আনন্দ উৎসবে
আরও পড়ুন- বাঙালির ডিম প্রেমে নতুন জোয়ার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy