ছবি: সংগৃহীত।
আধারের তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে সরকারি ওয়েবসাইটেই। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির প্রায় ২১০টি ওয়েবসাইটে আধার প্রাপকদের নাম ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল। পরে সে তথ্য সরিয়ে নেওয়া হয়। আধারে গোপনীয়তা ফাঁস নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই তথ্যের অধিকার আইনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছে আধার প্রস্ততকারক সংস্থা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ খবর জানিয়েছে।
আরটিআইটির জবাবে বলা হয়েছে, ইউআইডিএআই নিজে থেকে আধার প্রাপকদের সম্পর্কে কোনও তথ্য জনসমক্ষে আনেনি। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুবিধাপ্রাপকদের কথা জানাতে গিয়ে আধারের তথ্য ওয়েবসাইটগুলিতে দিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি নজরে আসায়, তা সরিয়েও দেওয়া হয়। ঠিক কোন সময়ে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা যদিও জানানো হয়নি। কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশ্বাস দিয়েছে, আধার-তথ্য যাতে সুরক্ষিত থাকে, সে জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আধার নিয়ে মূল মামলা সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে এ মাসের শেষেই আসতে চলেছে। তার আগে এই ভাবে তথ্য ফাঁসের বিষয় সামনে আসায় বেকায়দায় নরেন্দ্র মোদী সরকার।
আরও পড়ুন: সড়কহীন শহরে দেশের সবচেয়ে দামি শৌচালয়!
আধার কার্ডের মাধ্যমে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সুযোগ রয়েছে— এই অভিযোগ নিয়ে শীর্ষ আদালতে গিয়েছেন মামলাকারীরা। মোদী-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি আধারের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। তারাও তাকিয়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ের দিকে। মোদী সরকারের বক্তব্য, দেশে যে বিরাট সংখ্যক মানুষ আধার ব্যবহার করছেন, তাতে রায় বিপক্ষে গেলে অনেক কর্মসূচি ধাক্কা খাবে। বিশেষ করে সামাজিক প্রকল্পে আধার জুড়ে টাকার অপচয় বন্ধ করার সুযোগ রয়েছে বলেই যুক্তি সরকারের। এই পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক বেঞ্চ কী ফয়সালা শোনায়, সেটাই দেখার। অবশ্য মামলায় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পে আধারের ব্যবহারে কেন্দ্রের উদ্যোগে বাধা দেয়নি আদালত। যদিও একই সঙ্গে গোপনীয়তার বিষয়টিও মর্যাদা পেয়েছে কোর্টে। ব্যক্তি পরিসরের অধিকারকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy