প্রকাশ জারবালের পরে দিল্লির মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশকে মারধরের অভিযোগে আজ আপ বিধায়ক আমানতুল্লা খানকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। দু’জনকেই কাল পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ দিকে ওই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে এখনও অনড় দিল্লি সচিবালয়ের আমলা-কর্মীরা। আজ তাঁরা কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বলেছেন, যতদিন অরবিন্দ কেজরীবাল ক্ষমা না চাইছেন, তত দিন মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক বহিষ্কার করবেন আমলারা।
মারধর নয়, মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশ দলীয় নেতাদের বিক্ষোভের শিকার হয়েছিলেন বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। মেডিক্যাল রিপোর্টে জানা গিয়েছে, অংশুর কপালে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গাল ও কানের তলার অংশ ফুলে গিয়েছে। কেজরীবালের বাড়িতে সে রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, তা ব্যাখ্যা করতে আজ দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে যান অংশু প্রকাশ।
কাল রাতে প্রধান অভিযুক্ত আপ বিধায়ক প্রকাশ জারবালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর আজ সকালে জামিয়া নগর থানায় আত্মসমর্পণ করেন আর এক অভিযুক্ত আমানতুল্লা। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘‘পুলিশকে আপ নেতাদের পিছনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিবের কথা ধ্রুব সত্য বলে ধরা হচ্ছে। মন্ত্রীদের কথা কেউ শুনতে নারাজ।’’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যসচিবকে যে মারধর করা হয়েছে মেডিক্যাল রিপোর্টে তার উল্লেখ কোথায়।
আজ ঘণ্টা তিনেক জেরা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শদাতা বি কে জৈনকেও। ওই ব্যক্তিই ফোন করে অংশুকে কেজরীবালের বাড়িতে ডেকেছিলেন। দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত ডিসিপি (উত্তর) হরেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, ‘‘এখনই কেজরীবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা নেই দিল্লি পুলিশের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy