Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
National News

বেজিঙের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে পৌঁছে গেল ব্রহ্মস

ভিয়েতনামকে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে ভারত। সে দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই খবরে চিনের উদ্বেগ এবং উষ্মা যে আরও বাড়বে, সে নিয়ে সংশয় নেই।

ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র— ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র ভিয়েতনামের হাতে পৌঁছে যাওয়া চিনের জন্য মোটেই সুখবর নয়। —ফাইল চিত্র।

ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র— ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র ভিয়েতনামের হাতে পৌঁছে যাওয়া চিনের জন্য মোটেই সুখবর নয়। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৭ ১৯:০০
Share: Save:

আড়াই মাস ধরে টানাপড়েন ত্রিদেশীয় সীমান্তে। দু’মাস ধরে ডোকলামে মুখোমুখি ভারত এবং চিনের বড়সড় বাহিনী। তার মধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগরে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র পৌঁছে যাওয়ার খবর এল। এই খবরে বেজিঙের উষ্মা যে কয়েক গুণ বাড়বে, তা নিয়ে সংশয় নেই। তবে উদ্বেগও বাড়বে একইসঙ্গে।

ভিয়েতনামকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস দেবে ভারত, এমন কথা অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। দিনকয়েক আগেই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করে ভারত বেশ কিছু রণতরী ধ্বংসকারী ব্রহ্মস ভিয়েতনামে পাঠিয়েছে, খবর এনডিটিভি সূত্রের। ভিয়েতনামের এক সিনিয়র সাংবাদিককে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

ভিয়েতনাম ইতিমধ্যেই ব্রহ্মস হাতে পেয়ে গিয়েছে কি না, সে বিষয়ে শুক্রবার সকালে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ভিয়েতনাম বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লে থি থু হাং-কে। সেই প্রশ্নের উত্তরে হাং বলেন, ‘‘ভিয়েতনাম যে সামরিক সরঞ্জাম কেনে, তা শান্তি এবং আত্মরক্ষার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবেই কেনে এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’’ ভিয়েতনাম এবং ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সখ্য নিয়ে কারও উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয় বলেও তিনি এ দিন বার্তা দেন। ভারত-ভিয়েতনাম সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়া তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন তরান্বিত করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে বলেও হাং মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: চিনকে ধাক্কা দিয়ে ডোকলাম বিতর্কে ভারতের হয়ে মুখ খুলল জাপান

ভারত এবং রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মস এমনিতেই বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে বিবেচিত। ভিয়েতনামকে যে ক্ষেপণাস্ত্র ভারত দিয়েছে, সেগুলি অ্যান্টি-শিপ গোত্রের বলে জানা যাচ্ছে। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা রণতরীর দাপটকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার জন্যই এই ক্ষেপণাস্ত্র আদানপ্রদান হল— চিনা কূটনীতিকরা বিষয়টিকে এ ভাবেই দেখবেন বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

আরও পড়ুন: অক্টোবরেও সেনাবাহিনী থাকতে পারে ডোকলামে

ভিয়েতনামের সঙ্গে ভারতের সামরিক চুক্তি নিয়ে চিনের উষ্মা বহু দিনের। দক্ষিণ এশিয়া তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি বিঘ্নিত হোক, এমন কোনও পদক্ষেপ করা ভারত বা ভিয়েতনামের উচিত হবে না, একাধিক বার এমন হুঁশিয়ারি শুনিয়েছে চিন। কিন্তু সে হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করেই ধারাবাহিক ভাবে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়িয়েছে ভারত-ভিয়েতনাম। প্রশিক্ষণ দিয়ে, সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে, রণতরী দিয়ে ভিয়েতনামের বাহিনীকে শক্তিশালী করে তুলেছে ভারত। ভিয়েতনামও নিজেদের বন্দর খুলে দিয়েছে ভারতীয় নৌসেনার জন্য।

ভারত সরকার অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। কী দামে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করা হয়েছে, কতগুলি ক্ষেপণাস্ত্র ভিয়েতনাম পেয়েছে, তা নিয়েও কোনও তথ্য নয়াদিল্লি দেয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE