মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনটি নাকি বাস্তুসম্মত নয়। বুধবার শপথের পরে তাই নিজের বাড়িতেই ফেরার কথা ভাবছেন এইচ ডি কুমারস্বামী। তবে তার আগে কাল তিনি দিল্লি আসছেন রাহুল ও সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করতে।
কুমারস্বামী নিজে জানিয়েছেন, শপথ অনুষ্ঠানে রাহুল-সনিয়াকে ব্যক্তিগত ভাবে আমন্ত্রণ জানাতেই দিল্লি আসছেন। রাহুলের সঙ্গে মন্ত্রিসভা গঠন নিয়েও কথা হবে। কুমারস্বামী ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভার একটি তালিকা তৈরি করে ফেলেছেন। প্রাথমিক তালিকায় তিনি অর্থ মন্ত্রকটি নিজের হাতে রাখছেন। কংগ্রেসের জি পরমেশ্বরকে উপমুখ্যমন্ত্রী করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দেওয়া হতে পারে। পরমেশ্বর আজ জানান, দু’জনকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব রয়েছে। হাইকম্যান্ডই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠকের আগেই গুলাম নবি আজাদ, অশোক গহলৌতদের সঙ্গে কথা বলবেন রাহুল।
আগে ঠিক ছিল, শপথ হবে একটি স্টেডিয়ামে। এখন বিধানসভা বা রাজভবনে করার কথা ভাবা হচ্ছে। জেডি (এস) সূত্রের মতে, মন্ত্রিসভার একটি তালিকা কুমারস্বামী হাতে করে নিয়ে এলেও রাহুলের সঙ্গে আলোচনার পরে তা বদলাতেও পারে। মোটের উপর আপাতত ৩০-৩২ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যার সিংহ ভাগই কংগ্রেসের মন্ত্রী। মল্লিকার্জুন খড়্গেও যে-হেতু সংখ্যার নিরিখে তারাই বেশি। দু’টি আসনে উপনির্বাচন বাকি আছে। সেখানে কী ভাবে এগোনো যায়, তা নিয়ে কথা হবে দুই নেতার মধ্যে।
বিজেপি অবশ্য আজও বলেছে, ভোট পর্বে যে ভাবে কংগ্রেসকে গাল দিয়ে জেডি (এস) প্রচার করেছে, তাতে এই জোট টিকবে না। কিন্তু কুমারস্বামী বলেন, ‘‘কংগ্রেস পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে পাঁচ বছরের জন্য। মাঝামাঝি সময়ে হাতবদলও হবে না। কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে সরকার চালানোর জন্য একটি অভিন্ন কর্মসূচিও তৈরি হবে। শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব।’’
আরও পড়ুন: আগাম ছক, নিখুঁত চালে কর্নাটক জয়
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, বুধবার কুমারস্বামী একাই শপথ নেবেন। কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার তেমনই জানিয়েছেন। সম্ভবত বৃহস্পতিবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন কুমারস্বামী। তার পরেই বাকি মন্ত্রীরা শপথ নেবেন।
কংগ্রেস, জেডি (এস)-এর এখনও আশঙ্কা, বিজেপি ফের বিধায়ক ভাঙানোর চেষ্টা করবে। তাই গত কাল ইয়েদুরাপ্পা ইস্তফা দিলেও কংগ্রেস ও জেডি (এস) বিধায়কদের হোটেলেই আটকে রাখা হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘‘এতে বিধায়কদের একটু অসুবিধা হচ্ছে জানি। কিন্তু উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তাঁদের আরও ক’টা দিন কষ্ট করতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ পর্যন্ত তাঁদের হোটেলেই রাখা হবে।’’
কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়ে রাহুল দক্ষিণে বিজেপির দরজা বন্ধ করেছেন। অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি জোট গড়ার চেষ্টাও ভোঁতা করেছেন। ফলে কর্নাটকে কিছু কাঁটা থাকলেও বিজেপিকে হারাতে যা যা দরকার, তা করা হবে। সেই সঙ্গে কুমারস্বামীর শপথ মঞ্চেই অভিষেক হবে বিরোধী জোটের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy