বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা কমিটির প্রথম বৈঠক হল। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সভাপতিত্বে তিন বাহিনীর প্রধান এবং প্রতিরক্ষা, বিদেশ, ব্যয়-সচিব উপস্থিত ছিলেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের খবর, গত ১৮ এপ্রিল গঠিত হওয়া এই কমিটি কী ভাবে কাজ করবে, এ দিনের বৈঠকে তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। দেশের প্রথম ‘মিলিটারি ডকট্রিন’ তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের উৎসাহে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান।
স্বাধীনতার ৭১ বছর পর দেশের এখনও কোনও প্রকাশিত সামরিক নীতি নেই। চিন, আমেরিকা-সহ বিশ্বের সমস্ত শক্তিধর দেশই তাদের সামরিক নীতির কথা প্রকাশ করেছে। সেই সূত্র মেনেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনা থেকে রণকৌশল রচনা করে বিভিন্ন দেশ। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে এমন কোনও নির্দিষ্ট অভিমুখ এখনও নেই। নতুন গঠিত প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা কমিটি সেই কাজই করবে বলে জানা গিয়েছে। নৌ-বাহিনী, বায়ু সেনা এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে আরও সমন্বয় বাড়াতে, বিদেশ মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রকের মতামত নিয়ে সামগ্রিক নীতি তৈরির ক্ষেত্রে বর্তমান প্রতিরক্ষা সচিব সঞ্জয় মিত্রের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে মন্ত্রকের এক কর্তা জানান।
যদিও প্রতিরক্ষা মহলের একাংশের মতে, প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা কমিটির মাথায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকলেই সবচেয়ে ভাল হত। পরিবর্তে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল কমিটির মাথায় বসায় তিন বাহিনীর কর্তাদের মধ্যেই কিঞ্চিৎ সংশয় রয়েছে। সদ্য প্রাক্তন এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য, ‘‘এর আগেও অনেক কমিটি হয়েছে। তা কেমন কাজ করছে সেটাই এখন দেখার। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে কমিটি কাজ করলেই ভাল হত।’’
যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একাংশের মতে, গঠিত পরিকল্পনা কমিটি এখন থেকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছেই তা পেশ করা হবে। মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy