দু’মাস আগেও দৌড়ে ছিলেন। কিন্তু বিধানসভা ভোটে হারের পরে তিনি যে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার স্বপ্ন আর দেখছেন না, আজ তা স্পষ্ট করে দিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। বরং প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে আজ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম তুললেন তিনি।
অথচ এই অখিলেশেরই পরিকল্পনা ছিল উত্তরপ্রদেশে বিপুল ভোটে জিতে এসে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার হওয়া। কিন্তু বিজেপির হাতে নিজের রাজ্যে পর্যুদস্ত হওয়ার পরে আপাতত সেই স্বপ্ন যে জলাঞ্জলি দিয়েছেন, তা কার্যত প্রকাশ্যেই স্বীকার করে নিলেন মুলায়ম-পুত্র। আজ এবিপি নিউজের শিখর সম্মেলন অনুষ্ঠানে অখিলেশ বলেন, ‘‘আমার মাত্র পাঁচ জন সাংসদ। সংসদে যাঁদের শক্তি বেশি, যেমন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী— এঁরা প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হতে পারেন।’’
ফলে আগামী লোকসভা ভোটে যে দলের ভাল ফল নিয়ে তিনি সন্দিহান, অখিলেশ আজ তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে অনেকের মত।
অখিলেশ অবশ্য বলেছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে কী ভাবে একযোগে এগোনো হবে, আলোচনায় তা ঠিক করতে হবে রাহুল গাঁধী, মমতা, নীতীশ কুমারের মতো নেতাদের। তিনি মনে করেন, বিরোধী জোটের রূপরেখা ঠিক করতে এগিয়ে আসতে হবে কংগ্রেসকেই। তবে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে না থাকলেও তিনি যে বাবার হাতে দলের রাশ তুলে দিচ্ছেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন অখিলেশ। তাঁর কথায়, ‘‘পারিবারিক সম্পর্ক এক জায়গায়, দলীয় সম্পর্ক অন্য জায়গায়। নেতা-কর্মী, বিধায়ক-সাংসদ, যাঁরা আমার পাশে রয়েছেন তাঁদের কী ভাবে ছাড়ব!’’
বিধানসভার ফল প্রকাশের ঠিক আগের দিন বিজেপিকে রুখতে প্রয়োজনে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর সঙ্গে হাত মেলানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন অখিলেশ। স্বভাবতই লোকসভা ভোটের আগে এই জোটের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা ছিল সব শিবিরেই।
তবে অখিলেশ আজ বলেছেন, ‘‘আগে জোট করার প্রশ্নে কেউ হাত বাড়াক, তখন দেখা যাবে। তা ছাড়া এখন বিএসপিতেই অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy