Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

যোগীর জবাব চায় আদালত

আদিত্যনাথের চাপ বাড়াতে শনিবার গোরক্ষপুরে যাচ্ছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। কংগ্রেসের দাবি, রাহুল গত বছরও গোরক্ষপুরে গিয়ে বাবা রাঘবদাস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন।

আদালতের প্রশ্নের মুখে যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।

আদালতের প্রশ্নের মুখে যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ০৪:২২
Share: Save:

গোরক্ষপুরের হাসপাতালে শিশুমৃত্যু নিয়ে এ বার আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়লেন যোগী আদিত্যনাথ।

আজ ইলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ গোরক্ষপুরের বাবা রাঘবদাস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত কয়েকদিনে শিশু ও নবজাতকের মৃত্যু নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের জবাবদিহি চেয়েছে। গোরক্ষপুরের হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর মিছিল এখনও অব্যাহত। গত সপ্তাহে ৬০টিরও বেশি শিশুর মৃত্যুর পরে, চলতি সপ্তাহেও সোমবার থেকে বুধবার— এই তিন দিনে ৩৪টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৮টি শিশুই মারা গিয়েছে এনসেফ্যালাইটিসে। এ বিষয়ে যোগী সরকারকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আদিত্যনাথের চাপ বাড়াতে শনিবার গোরক্ষপুরে যাচ্ছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। কংগ্রেসের দাবি, রাহুল গত বছরও গোরক্ষপুরে গিয়ে বাবা রাঘবদাস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও এই হাসপাতালকে সাহায্যের জন্য দাবি জানান তিনি, সাড়া মেলেনি।

শনিবার গোরক্ষপুরে যাচ্ছেন আদিত্যনাথও। এনসেফ্যালাইটিসে শিশুমৃত্যুর জেরে তাঁর ২৮ বছরের সংসদীয় কেন্দ্রে অপরিচ্ছন্নতা, সাফাইয়ের অভাব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নোংরা সাফাই অভিযানের জন্য ‘স্বচ্ছ উত্তরপ্রদেশ-স্বাস্থ্য উত্তরপ্রদেশ অভিযান’-এর উদ্বোধন করতেই যোগী গোরক্ষপুরে পৌঁছচ্ছেন। বিজেপির দাবি, গোরক্ষপুরই নয়, রাজ্যের সর্বত্র স্বচ্ছতা অভিযান চলবে।

আরও পড়ুন: বিধ্বংসী আরও ৬ যুদ্ধ-চপার পাচ্ছে স্থলসেনা

কংগ্রেসের দাবি, আদিত্যনাথ আসল গাফিলতি স্বীকার করছেন না। কখনও ডাক্তার, কখনও অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থার দিকে আঙুল তুলে দায়িত্ব এড়াতে চাইছে। কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন বলেন, ‘‘আদিত্যনাথ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে অমিত শাহ, সবাই বলছেন, প্রতি বছর এনসেফ্যালাইটিসে শিশুমৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ জানতে প্রথমে ময়নাতদন্তের দরকার ছিল। তা হয়নি।’’ শিশুমৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন অখিলেশ যাদব।

যোগী সরকার এই দাবি মানতে রাজি নয়। বস্তুত আদালতের হস্তক্ষেপ আটকাতেই আজ সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেছিল রাজ্য। সমাজকর্মী নূতন ঠাকুরের জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবীরা যুক্তি দেন, মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করেছেন। তার সুপারিশের ভিত্তিতে সব রকম পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু নূতন অভিযোগ তোলেন, আসল দোষীদের বাঁচাতে সত্য ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আদালত জানায়, ৯ অক্টোবর ফের শুনানি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE