প্রতীকী ছবি।
মায়াবতী-অখিলেশ হাত ধরে উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনে মাত দিয়েছেন বিজেপিকে। বদলা নিতে শুক্রবারের রাজ্যসভা ভোটে রাজ্যের ১০টির মধ্যে ৯টি আসনই ছিনিয়ে নিতে মরিয়া অমিত শাহ। যাতে সপা-র সমর্থন পাওয়া মায়াবতীর প্রার্থীকে হারানো যায়।
সহজ নিয়মে ভোট হলে উত্তরপ্রদেশের ১০টি আসনের মধ্যে বিজেপির প্রাপ্য ৮টি। আর সপা-বিএসপি ১টি করে। সপা-র ১টি আসন কোনও ভাবেই আটকানো সম্ভব নয়। তবে সপা-র সমর্থনে মায়াবতী যে প্রার্থী দিয়েছেন দশম আসনে, অমিত শাহের নজর এখন সেখানেই। আর সেটি জয়ের জন্য বিরোধী শিবির ভাঙানো ছাড়া গতি নেই। কিন্তু বিরোধী শিবির ভাঙা হবে কী করে?
বিজেপি সূত্রের মতে, রাজ্যসভা ভোটে বিরোধী শিবির ভাঙতেই নরেশ অগ্রবালকে বিজেপিতে নিয়ে এসেছেন অমিত। সঙ্গে এসেছেন তাঁর বিধায়ক-পুত্রও। আজ রাতে যোগী আদিত্যনাথ সব বিধায়ককে জড়ো করে রাজ্যসভা ভোটের মহড়া দেন। সেখানে নরেশের ছেলেও ছিলেন। এসেছিলেন বিক্ষুব্ধ শরিক ওমপ্রকাশ রাজভড়ও। যিনি গোড়ায় বেসুরো গাইলেও গত কাল অমিতের সঙ্গে বৈঠকের পরে বিজেপির প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার
আশ্বাস দিয়েছেন। এখানেই থামছেন না অমিত। নরেশকে দিয়ে সপাতেও ভাঙন ধরাতে চাইছেন। বিজেপি নেতাদের দাবি, শুক্রবার অন্তত ৪ জন ক্রস ভোটিং করবেন। আর তাতেই মায়াবতীর প্রার্থী ভীমরাও অম্বেডকরের আসন জয়ের স্বপ্ন হাতছাড়া হবে। জিতবেন বিজেপির অনিল অগ্রবাল। অজিত সিংহের ১ জন বিধায়কও বিজেপিকে ভোট দিতে পারেন বলে অমিত শিবিরের আশা। চেষ্টা চলছে কংগ্রেসকেও ভাঙানোরও।
ভোটের দু’দিন আগে বিজেপির মুখে হাসি ফুটিয়েছেন অখিলেশের দলের ৭ বিধায়ক। দুপুরে নিজের দলের বিধায়কদের ডেকেছিলেন অখিলেশ। সেখানে তাঁর কাকা শিবপাল যাদব-সহ অন্য ৬ বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। যদিও রাতে পাঁচতারা হোটেলের নৈশভোজে হাজির হন শিবপাল। সপা, কংগ্রেস ও বিএসপির দাবি, তাঁদের দল অটুট থাকবে। কিন্তু শেষ হাসি কে হাসবেন, স্পষ্ট হবে শুক্রবারই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy