Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
নারোড়া গাম মামলা

কোডনানির হয়ে সাক্ষ্য অমিতের

মায়ার বয়ানকে সমর্থন করে অমিতের দাবি, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি মায়াকে সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ গাঁধীনগরে রাজ্য বিধানসভায় দেখেছিলেন এবং তার পরে শোলা সিভিল হাসপাতালেও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল মায়ার।

সংবাদ সংস্থা
অমদাবাদ শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৫:০৫
Share: Save:

ভরা আদালতে এসে দলের নেত্রী এবং গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী মায়া কোডনানির পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

অমদাবাদের শহরতলি নারোড়া গামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১১ জনকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মায়ার হয়ে সোমবার সকালে গুজরাতের বিশেষ সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) আদালতে সাক্ষ্য দিলেন অমিত। মায়ার বয়ানকে সমর্থন করে অমিতের দাবি, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি মায়াকে সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ গাঁধীনগরে রাজ্য বিধানসভায় দেখেছিলেন এবং তার পরে শোলা সিভিল হাসপাতালেও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল মায়ার।

যদিও সিট-এর জমা দেওয়া চার্জশিটে বলা হয়েছিল, কোডনানি ওই দিন বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান সকাল ৮টা ৪০ নাগাদ। নারোড়া গামে পৌঁছন সাড়ে ৯টায়। সিট কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান থেকে এবং মায়ার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখিয়ে জানায়, ওই দিন মায়া সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নারোড়া গামে ছিলেন।

যদিও তৎকালীন বিধায়ক মায়া আদালতে দাবি করেন, তিনি ওই দিন নারোড়া গামে ছিলেন না। তাঁর বক্তব্য, সকালে তিনি বিধানসভায় ছিলেন এবং তার পরে সোজা শোলা সিভিল হাসপাতালে চলে যান। সেই সময়ে অমিতও ছিলেন বিধায়ক। সেই সূত্রেই তাঁর শরণাপন্ন হন মায়া। এ দিন আদালতে ৪০ মিনিট ছিলেন বিজেপি সভাপতি। সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওই দিন সকাল সাড়ে ৮টায় মায়া বিধানসভায় ছিলেন।’’ অধিবেশন ওই সময়ে শুরু হয়। অমিত জানান, তার পরে তিনি শোলা হাসপাতালে পৌঁছন সাড়ে ৯টা-পৌনে ১০টা নাগাদ। ওই হাসপাতালে মায়াও ছিলেন। ওখানেই গোধরার ট্রেনে নিহত করসেবকদের দেহ রাখা ছিল। তাই সেখানে যান তাঁরা। ১১টা-সওয়া ১১টা নাগাদ বেরিয়ে যাওয়ার
সময়ে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে তাঁর কোডনানির সঙ্গে দেখা হয়েছিল বলে আদালতে জানান অমিত। বিজেপি সভাপতি বলেন, তাঁরা বেরিয়ে ভিন্ন দিকে চলে যান। আইনজীবীরা অমিতের কাছে জানতে চান, বিধানসভা থেকে বেরিয়ে
যাওয়া এবং আর হাসপাতালে পৌঁছনোর মাঝের সময়টা মায়া কোথায় ছিলেন? অমিত বলেন, তিনি জানেন না। সঙ্গে বলেন, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মায়া কোথায় গিয়েছিলেন, তা-ও জানেন না। এর পরে প্রশ্ন ছিল, সমন পাঠানো সত্ত্বেও অমিত আগে কেন আসেননি? তাঁর দাবি, ‘‘সমন পাঠানো হয়নি। সিট-ও জানে আমি শোলা হাসপাতালে ছিলাম এবং সেখানে মায়াকে দেখেছিলাম। কিন্তু সিট-ও আমায় কখনও ডাকেনি।’’ মায়াই তাঁর হয়ে অমিতের সাক্ষ্যের জন্য হাজিরার আর্জি জানিয়েছিলেন আদালতে।

এই মামলার প্রত্যক্ষদর্শীরা অবশ্য অনেকেই বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি মায়া কোডনানিই হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য লোকজনকে প্ররোচিত করেছিলেন। সে দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে মায়া ওখানেই ছিলেন বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। নারোড়া গামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১১ জনকে হত্যায় আরও ৮২ জনের সঙ্গে অভিযুক্ত মায়া কোডনানিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE