থানার রেকর্ড খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
আবার চমক যোগী আদিত্যনাথের। স্বরাষ্ট্র দফতর হাতে নিয়েছেন গত কাল। আর আজ, বৃহস্পতিবারই আচমকা হাজির হলেন লখনউয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ থানায়। সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন থানার পরিস্থিতি, সবিস্তার জানতে চাইলেন আইন-শৃঙ্খলার হাল। শুধু পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা নয়, পুলিশের মনোবল বাড়ানোও যোগীর এই আচমকা সফরের অন্যতম লক্ষ্য, দাবি উত্তরপ্রদেশ সরকারের। ‘এটা প্রথম ঝটিকা পরিদর্শন, শেষ নয়’, হজরতগঞ্জ থানা থেকে ফেরার পথে এমনই জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
হজরতগঞ্জ লখনউয়ের অত্যন্ত ব্যস্ত এলাকা। লখনউ শহরে ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ওই অঞ্চল। যোগী আদিত্যনাথ ওই থানায় গিয়ে এ দিন রেকর্ড পরীক্ষা করেন। থানার মিনি সেল এবং লক-আপের পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার সূত্রের খবর, যোগীর এই থানা সফর শুধু আইন-শৃঙ্খলার হাল খতিয়ে দেখার জন্য নয়, পুলিশের মনোবল বাড়ানোর জন্যও। সপা জমানার কুখ্যাত ‘গুণ্ডারাজ’-এ ইতি টানতে পুলিশের মনোবল বাড়ানোয় যে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ জোর দিয়েছেন, রাজ্য পুলিশও তা মানছে। পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে যা যা প্রয়োজন, সব কিছুর ব্যবস্থা রাজ্য সরকার করবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, জানিয়েছেন খোদ ডিজি।
মেয়েদের উত্যক্ত করতে দেখলেই ধরপাকড় করছে অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড। লখনউতে গ্রেফতার তেমনই এক ‘রোমিও’। ছবি: পিটিআই।
লখনউয়ের মসনদে যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার বয়স মাত্র পাঁচ দিন। কিন্তু এর মধ্যেই একের পর এক কড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে ও নির্দেশ জারি করে পুলিশ-প্রশাসনকে দৌড় করাতে শুরু করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্যের সর্বত্র যে আইনের শাসন বহাল রয়েছে, তা নিশ্চিত করতে হবে— কার্যকাল শুরুর দ্বিতীয় দিনেই রাজ্য পুলিশের ডিজি জাভেদ আহমেদকে সে কথা জানিয়ে দেন যোগী আদিত্যনাথ। সব জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের সঙ্গে অবিলম্বে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করতে ডিজিকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার স্বরাষ্ট্র দফতর নিজের হাতে নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার যোগী আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আরও সক্রিয় হয়ে উঠলেন। আগে থেকে কিছু জানতে না দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সরাসরি হাজির হলেন হজরতগঞ্জ থানায়।
আরও পড়ুন: হাতে স্বরাষ্ট্র, যোগী কঠোর কসাইখানায়
যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে পুলিশের অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে। কলেজ, শপিং মল বা অন্যান্য জনবহুল এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের প্রতি কটূক্তি বা তাঁদের উত্যক্ত করার চেষ্টা দেখলেই ধরপাকড় করছে পুলিশ। তবে এ নিয়ে কোনও কোনও মহলে ক্ষোভও দেখা দিয়েছে। মেয়েদের সম্মান রক্ষার অজুহাতে পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই তরুণ যুগলদের হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড কোনও যুগলকে হেনস্থা করবে না। যারা মেয়েদের উত্যক্ত করছে, শুধু তাদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করবে। তবে প্রাথমিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ অনেক ক্ষেত্রেই অনুসৃত হচ্ছে না। পুলিশ অনেক জায়গাতেই অতি সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy