দাঙ্গা বিধ্বস্ত সাহারানপুর।
শান্ত হচ্ছে না উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর। ঠাকুরবাহিনীর হাতে আজ, বুধবার, মৃত্যু হল আরও এক দলিতের। অভিযোগ, বুধবার সকালে সাহারানপুরের মির্জাপুরে, ঠাকুর সম্প্রদায়ের বাহিনী নিতিন ও যশপাল নামে দুই দলিতের উপর চড়াও হয়। হামলার তারা দু’জনই মারাত্মকভাবে আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় নিতিনের। যশপালের অবস্থাও গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিতিন এবং যশপাল দু’জনই প্রজাপতি সম্প্রদায়ের। লাগাতার সংঘর্ষের জেরে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। পরিস্থিতি সামলেতে না পারার জন্য তড়িঘড়ি সরিয়ে দেওয়া হল জেলা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের দুই শীর্ষ আধিকারীককে।
যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার গঠনের পর এই নিয়ে কম করে পাঁচজনের মৃত্যু হল সাহারানপুরে। পাঁচজনই দলিত। আহত হয়েছেন কম করে ৫০ জন। যার মধ্যেও বেশিরভাগ জনই দলিত। তবে, সাহারানপুরে ধারাবাহিক সংঘর্ষের দায় বিরোধীদের ঘাড়েই চাপাতে চেষ্টা করছিল উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার। বিশেষত মঙ্গলবার সেখানে মায়াবতীর সভার পর নতুন করে সংঘাত ছড়ানোয়। তাদের দাবি, বিরোধী বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্যই পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা সরকার এবং প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে যেমন জোরালো প্রশ্ন তুলেছে, তেমনি প্রশ্ন উঠেছে সংঘাত থামাতে প্রশাসনের সদিচ্ছা নিয়েও। মঙ্গলবারও সাহারানপুরে সংঘর্ষে এক দলিতের মৃত্যু হয়েছিল।
সাহারানপুরে মায়াবতীর সমাবেশ
উত্তরপ্রদেশের আরও অনেক এলাকার মতো সাহারানপুরেও ঠাকুর-সহ তথাকথিত উচ্চবর্ণীয়দের হাতে নিয়মিতই দলিত নিগ্রহের ঘটনা ঘটে চলে বলে অভিযোগ। এই অত্যাচার ঠেকাতে ভীমসেনা গঠন করে পাল্টা প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন দলিতরা। দু’পক্ষের লাগাতার সংঘর্ষ চলছে বেশ কিছু দিন। দলিতদের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন বেছে বেছে তাঁদেরই হেনস্থা করছে ঠাকুরদের বাহিনীর পক্ষে দাঁড়িয়ে।
এই নিয়ে গত তিন সপ্তাহের মধ্যে চারবার সংঘর্ষে তপ্ত হল সাহারানপুর। ঘটনার ইতিমধ্যেই ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এর পরেও সংঘর্ষ থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে সাহারানপুরের জেলাশাসক এন পি সিংহ এবং সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেনড্যান্ট এস সি দুবেকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে উত্তরপ্রদেশের সরকারি সূত্রে খবর।
(ছবি: পিটিআই)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy