Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

দুই সন্তান নীতি দাবি

ট্যাক্সঅ্যাব-এর কর্ণধার সঞ্জয় মিশ্র বলেন, কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করা তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। রাজনৈতিক কর্মসূচিও নয় এ’টি। কিন্তু বেকারত্ব হোক, বা দারিদ্র কী অপুষ্টি— দেশের সব সমস্যার মূল কারণ জনসংখ্যা। করদাতাদের টাকাতেই এই বিপুল জনসংখ্যাকে ভর্তুকি দিতে হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৭ ১২:৩০
Share: Save:

আরএসএসের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দাওয়াইয়ের সূত্র ধরে বিজেপি শাসিত অসমে ইতিমধ্যেই ‘দুই সন্তান’ নীতি চালুর তোড়জোড় চলছে। কাল বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আগের দিন এ বারে গোটা দেশেই তা চালুর দাবি নিয়ে আসরে নামল একটি ‘অরাজনৈতিক’ সংগঠন ট্যাক্সঅ্যাব।

নামে অরাজনৈতিক। কিন্তু সংগঠনটি যে প্রচার আজ থেকে শুরু করেছে, সে’টি আদতে আরএসএসেরই ভাবধারার অন্তর্গত। ২০১৫-য় দেশের জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা নিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে আরএসএস। তার পর অসমে ‘দুই সন্তান’ নীতি চালুর ব্যাপারে উদ্যোগী হয় রাজ্যের বিজেপি সরকার। বলা হয়, দু’টির বেশি সন্তান হলে সরকারি কাজ পাওয়া যাবে না। সংখ্যালঘুরা এর বিরোধিতা করে। গোটা বিষয়টিকে ‘অরাজনৈতিক’ সাজাতে আজ দিল্লির সংগঠনটি এই বিষয়টি নিয়ে এক মঞ্চে জড়ো করলেন কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন থেকে ক্রীড়াবিদ গীতা ফোগটকে। সঙ্গে বলিউডের একঝাঁক তারকা। গীতা আজ শপথ নিলেন, তিনিও দুই সন্তানের মা হবেন।

ট্যাক্সঅ্যাব-এর কর্ণধার সঞ্জয় মিশ্র বলেন, কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করা তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। রাজনৈতিক কর্মসূচিও নয় এ’টি। কিন্তু বেকারত্ব হোক, বা দারিদ্র কী অপুষ্টি— দেশের সব সমস্যার মূল কারণ জনসংখ্যা। করদাতাদের টাকাতেই এই বিপুল জনসংখ্যাকে ভর্তুকি দিতে হয়। স্বাধীনতার সময় দেশের যে জনসংখ্যা ৩৬ কোটি ছিল, এখন সে’টি বেড়ে হয়েছে ১৩৪ কোটি। এ ভাবে চললে ২০৫০-এ এই সংখ্যা ২০০ কোটিতে পৌঁছে যাবে। এখনই যদি ‘দুই সন্তান’ নীতি চালু করা যায়, তা হলেও সেই সংখ্যাটি ১৯০ কোটিতে থাকবে। তাঁদের যুক্তি, চিন এক সময়ে ‘এক সন্তান’ নীতি প্রণয়ণ করে তাদের ৪০ কোটি জনসংখ্যা কমাতে পেরেছে। ভারতেরও এ পথে হাঁটা উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE