Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
French tourists molested

উত্তরপ্রদেশে এ বার আক্রান্ত ফরাসি পর্যটকেরা, ধৃত ৮

পর্যটক দলটিতে থাকা এক মহিলাকে কুকথা বলে দুই যুবক। তার প্রতিবাদ করায় পর্যটকদের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয় যুবকদের।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
বারাণসী শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৪:২৮
Share: Save:

আবার বিদেশি-নিগ্রহ। আবারও ঘটনাস্থল যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ

রবিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে একটি জলপ্রপাত দেখতে গিয়েছিলেন ফরাসি পর্যটকদের একটি দল। ছয় জনের ওই পর্যটকদের সঙ্গে ছিলেন তাঁদের এক ভারতীয় বন্ধুও। অভিযোগ, তখনই তাঁদের উপর হামলা চালায় কয়েক জন যুবক। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পর্যটক দলটিতে থাকা এক মহিলাকে কুকথা বলে দুই যুবক। তার প্রতিবাদ করায় পর্যটকদের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয় যুবকদের।

প্রাথমিক ভাবে তখন স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে বিবাদ মিটেও যায়। কিন্তু, কিছু ক্ষণ বাদে আরও জনা দশেক সাঙ্গোপাঙ্গকে নিয়ে জড়ো হয় ওই দুই যুবক। অভিযোগ, এর পরই মারধর করা হয় পর্যটকদের।

আরও পড়ুন: ফের আক্রান্ত বিদেশি

হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন কয়েক জন। বিবেক নামে এক যুবক মাথায় চোট পেয়েছেন। তবে, এই ঘটনার এফআইআর-এ পুলিশ বিদেশি পর্যটকদের উপর হামলার বিষয়টি উল্লেখ না করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর জবাবে এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক আশিস তিওয়ারি বলেন, ‘‘আমরা একটা ভিডিও পেয়েছি। তাতে এক বিদেশি পর্যটককে বলতে শোনা গিয়েছে, হামলাকারীদের হাত থেকে আক্রান্তকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর শরীরে আঁচড় লাগে। সেই কারণেই বিদেশিদের উপর হামলার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।’’

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে নির্যাতিতা উদ্ধার, ধৃত

গত এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে তিন বার বিদেশিদের উপর হামলার ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে। প্রথমে ফতেপুর সিক্রিতে সুইস দম্পতি নিগ্রহ, তার সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যে রবার্টসগঞ্জ স্টেশনে জার্মান নাগরিককে মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। ওই দুই ঘটনার রেশ কাটার আগে ফের বিদেশি নিগ্রহের ঘটনা যোগীর রাজ্যে বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE