ছবি: পিটিআই।
জঙ্গি হামলার আতঙ্ক তো ছিলই। আবহাওয়াও খারাপ। চলছে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ। সব উপেক্ষা করেই কাশ্মীর দেখতে বেরিয়ে পড়েছিলেন কিছু পর্যটক। কাজেকর্মে পথে বেরোতে হয়েছিল স্থানীয়দেরও। শেষ পর্যন্ত যে তুষার ধসের কবলে পড়ে প্রাণ খোয়াতে হবে, তা বোধ হয় স্বপ্নেও ভাবেননি তাঁরা। শনিবার বিকেল পর্যন্ত বরফ সরিয়ে ১১টি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা। গুরুতর জখম অবস্থায় এক জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। গুলাম নবি ভাট নামে কালমুনার ওই বাসিন্দাকে শ্রীনগরের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি শুক্রবারের। এ দিন উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা থেকে কারনার পথে টাটা সুমোয় চেপে রওনা দিয়েছিল পর্যটকের ওই দলটি। সঙ্গী বলতে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা হাওয়া আর ঘন কুয়াশা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল নাগাদ তাংধারের সাধনা টপের কাছে যখন গাড়ি পৌঁছেছে আচমকা বিকট শব্দে নেমে এল তুষার ধস। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই বরফের চাঙড়ের নীচে তলিয়ে যান যাত্রীরা।
ধসের টানে রাস্তা থেকে বেশ কিছুটা খাদের গভীরে ছিটকে পড়েছিল গাড়িটি। জায়গাটি দুর্গম হলেও শুক্রবার সন্ধের মধ্যেই এক জনের দেহ উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তবে রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া আরও খারাপ হতে থাকায় উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় তারা। শনিবার দিনের আলো ফুটতেই ফের শুরু হয় অভিযান। বাহিনীর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে উদ্ধারে নামেন শ’খানেক বাসিন্দা। বিকেলের মধ্যেই খোঁজ মেলে আরও দশটি দেহের। যার মধ্যে এক বছরের একটি শিশুও রয়েছে। আশঙ্কা, ধস সরালে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy