মদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সাফল্যকেই হাতিয়ার করে জাতীয় রাজনীতিতে এগোতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। নিষেধাজ্ঞার জেরে এক মাসেই নজিরবিহীন সফলতা এসেছে বলে প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি। পুলিশ কর্তারা দাবি করেছেন, গত এক মাসে রাজ্যে ২৭ শতাংশ অপরাধ কম হয়েছে।
গত ৫ এপ্রিল বিহার জুড়ে এই সার্বিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। সেই সাফল্যকে সামনে রেখেই আগামী ১০ মে ঝাড়়খণ্ডের ধানবাদ, ১২ মে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী এবং ১৫ মে লখনউয়ে সভা করবেন নীতীশ। যদিও রাজ্যের এই নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। পটনা হাইকোর্ট আজও সেই মামলার শুনানি হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা সফল করতে গত মাসে রাজ্যে আবগারি, পুলিশ ও রেল পুলিশ ১৯০৭৬টি অভিযান চালিয়েছে। সব মিলিয়ে ১৫০০ এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ১৩০৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে আদালত থেকে ২৬৪ জন জামিন পেয়েছেন। আর এই তথ্যকেই সাফল্য বলে ঘোষণা করছে নীতীশ প্রশাসন।
কর্তাদের দাবি, ছোট অপরাধী থেকে মাফিয়া, সকলেই মদের মামলা থেকে বাঁচতে হয় রাজ্য ছেড়েছেন অথবা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। সোজাসুজি লাভবান হয়েছেন সাধারণ মানুষ। সে কথাই বলেছেন জেডিইউ মুখপাত্র রাজীবরঞ্জন প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। বিরোধী দলগুলি পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারছে না। মুখ্যমন্ত্রীর এই নীতি শুধু বিহার নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও প্রশংসিত হচ্ছে।’’
এখনও পর্যন্ত ১৫টি রাজ্য থেকে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নীতীশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখেই দেশজুড়ে প্রচার করতে চলেছেন নীতীশ কুমার।
বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর বক্তব্য, ‘‘বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার মুখে নিষেধাজ্ঞার কথা বললেও সর্বত্রই তা পাওয়া যাচ্ছে।’’
নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে পটনা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থের মামলা দায়ের করেছেন চিকিৎসক অনিল প্রসাদ সিংহ। গত চারদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে দুই সদস্যের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলছে। তবে আদালতের তরফে কোনও নির্দেশ এখনও দেওয়া হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy