নবনীত প্রকাশ
স্কুলব্যাগ থেকে পাওয়া একটা সুইসাইড নোট!
আর তাতে রাগ-অভিমান-যন্ত্রণা উগরে দিয়ে বছর বারোর এক ছেলে লিখেছে, শ্রেণি-শিক্ষিকা রোজ তাকে শাস্তি দিতেন স্কুলে। আর তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হল সে। সুইসাইড নোটে তার শেষ আর্তি— ‘এমন শাস্তি আর যেন কাউকে পেতে না হয়।’
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই ক’টা কথা লেখার পরেই বিষ খেয়েছিল গোরক্ষপুরের সেন্ট অ্যান্টনি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র নবনীত প্রকাশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার মৃত্যু হয়েছে তার। নবনীতের বাবা রবি প্রকাশের অভিযোগ, শিক্ষিকার আচরণের জন্যই চরম পদক্ষেপ করেছে তাঁর ছেলে।
পরিবারের অভিযোগ, গত ১৪ সেপ্টেম্বর স্কুলে নবনীতকে টানা তিন পিরিয়ড দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন ওই শিক্ষিকা। তার পরে বাড়ি ফিরে মনমরা হয়ে পড়েছিল সে। পরের দিন ছিল তার পরীক্ষা। সে দিনই বাবাকে লেখা সুইসাইড নোটে নবনীত জানিয়েছে, ‘আজ আমার প্রথম পরীক্ষা ছিল। ক্লাস টিচার ম্যাম আমাকে সকাল ৯টা ১৫ পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। আমি কাঁদছিলাম। উনি শুধু ওঁর ধামা-ধরা কিছু লোকের কথাই শোনেন। আজ আমি ঠিক করে নিয়েছি যে, মরব। ম্যামের কথা বিশ্বাস কোরো না। আমার শেষ ইচ্ছে, ম্যাম যেন কোনও বাচ্চাকে ভবিষ্যতে এত বড় শাস্তি না দেন।’
আরও পড়ুন: নীল তিমির ৪৯-এ! পরীক্ষায় লিখল ছাত্র
স্কুল কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, নবনীতের মৃত্যুর পরে অবিভাবকদের একাংশ স্কুলে হাজির হয়ে পাথর ছুড়েছেন। তাতে ভেঙেছে দরজা-জানলা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, দিল্লি, রাজস্থানের বারমেড়, উত্তরপ্রদেশের দেবরিয়া— গত কয়েক দিন ধরে শিরোনামে উঠে এসেছে দেশের নানা স্কুলে পড়ুয়াদের মৃত্যু ও হেনস্থার ঘটনা। তার আগেই সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়েছে ‘আপ পেয়ারসে পড়াইয়ে’ বলে কাঁদতে থাকা বছর চারেকের একটি শিশুর ভিডিও। বিতর্কের সেই তালিকায় জড়িয়ে গেল যোগী আদিত্যনাথের গোরক্ষপুরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy