Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
National News

৮০ পাওয়া ছাত্রীকে ৭ দিল বিহার বোর্ড, নম্বর ফেরাল হাইকোর্ট

উত্তর বিহারের সহর্ষ জেলায় সরকারি ডিডি হাইস্কুলের ছাত্রী প্রিয়ঙ্কা সিংহ। দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, দুটো বিষয়ে ফেল করেছে সে। বিজ্ঞান বিভাগে মোট পেয়েছে ২৯ এবং সংস্কৃতে ৪। প্রিয়ঙ্কা নিশ্চিত ছিল, এই নম্বর সে কিছুতেই পেতে পারে না। কোথাও একটা গোলমাল হয়েছে।

প্রিয়ঙ্কা সিংহ। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

প্রিয়ঙ্কা সিংহ। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৭ ১৭:১২
Share: Save:

কখনও পরীক্ষায় জালিয়াতি, আবার কখনও ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল, বারে বারেই খবরের শিরোনামে আসে বিহার স্কুল বোর্ডের নাম। কেলেঙ্কারির নয়া কীর্তিতে ফের একবার স্পটলাইটে চলে এল তারা। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় দু’বার বিজ্ঞান আর সংস্কৃতে ফেল করানো এক ছাত্রী আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পর শুধু পাসই করল না, পেল রীতিমতো ভাল নম্বর।

ঘটনাটা ঠিক কী?

উত্তর বিহারের সহর্ষ জেলায় সরকারি ডিডি হাইস্কুলের ছাত্রী প্রিয়ঙ্কা সিংহ। দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, দুটো বিষয়ে ফেল করেছে সে। বিজ্ঞান বিভাগে মোট পেয়েছে ২৯ এবং সংস্কৃতে ৪। প্রিয়ঙ্কা নিশ্চিত ছিল, এই নম্বর সে কিছুতেই পেতে পারে না। কোথাও একটা গোলমাল হয়েছে। ওই দুই বিষয়ের খাতা পুনর্মূল্যায়ণের জন্য বোর্ডর দ্বারস্থ হয় সে। পুনর্মূল্যায়ণের ফল প্রকাশের পর আরও বড় ধাক্কা। প্রিয়ঙ্কা দেখে সে আবার ফেল করেছে। সংস্কৃতে তার নম্বর ৪ থেকে বাড়িয়ে ৯ হয়েছে, কিন্তু বিজ্ঞান বিভাগে তার নম্বর ২৯ থেকে কমে হয়েছে ৭।

আরও পড়ুন:

মুম্বইয়ের রাস্তায় কিশোরীকে মার, দর্শক জনতা, দেখুন সেই ভিডিও

অনুমতি ছাড়া কর্তব্যরত সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা যাবে না!

মরিয়া প্রিয়ঙ্কা পটনা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। বোর্ডকে প্রিয়ঙ্কার সব উত্তরপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু আদালতে বোর্ড যে উত্তরপত্র জমা করে, তার হাতের লেখার সঙ্গে প্রিয়ঙ্কার হাতের লেখার কোনও মিল ছিল না। ক্ষুব্ধ পটনা হাইকোর্ট ফের বোর্ড কর্তৃপক্ষকে কড়া নির্দেশ পাঠায়। সঠিক উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ণের পরে দেখা যায়, বিজ্ঞান বিভাগে ৮০ এবং সংস্কৃতে ৬১ পেয়েছে প্রিয়ঙ্কা। ভুয়ো উত্তরপত্র দাখিল এবং পরীক্ষার নম্বরে জালিয়াতির ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিহার স্কুল এডুকেশন বোর্ডের তরফ থেকে প্রিয়ঙ্কাকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পটনা হাইকোর্ট।

বিহার বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন কেনাবেচা, অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়া, এমনকী প্রকাশ্যে ছাত্রদের প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে। বোর্ড পরীক্ষার সময় বিপুল পরিমাণে নকল চালানোর অভিযোগে ২০১৫ সালে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল বিহার বোর্ডের নাম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE