সাসপেন্ড বেনজির আরফান।
অত্যাচারে প্রাণ যাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রার্থনা সভায় সকলকে আমন্ত্রণ জানানোর ‘অপরাধে’ সাসপেন্ড হলেন অসম তথা উত্তর-পূর্বে বিজেপির তিন তালাক বিরোধী লড়াইয়ের মুখ বেনজির আরফান। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইউনাইটেড মাইনরিটি পিপলস ফোরাম মায়ানমারে খুন হওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য গত কাল ফ্যান্সি বাজারে প্রার্থনা সভার আয়োজন করে। ভারতীয় জনতা মজদুর মোর্চার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেনজির দলের ফেসবুক পেজে ওই সভায় সকলকে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে পোস্ট লেখেন। তার জেরেই অসম প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ শইকিয়া বেনজিরকে সাসপেন্ড করে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন। বলা হয়, দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে, দলের নীতি-আদর্শের তোয়াক্কা না করে, মায়ানমারের ঘটনা নিয়ে অন্য সংগঠনের হয়ে কর্মসূচির কথা এ ভাবে পোস্ট করে নিময় ভেঙেছেন বেনজির।
আরও পড়ুন: ৭১এর উল্টো স্রোত ১৭তে, উদ্বাস্তুদের কান্নার শব্দটা একই
এ নিয়ে বেনজিরের অভিযোগ, দলীয় সভাপতি রঞ্জিৎ দাসের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে মুখ খোলাতেই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া হল দল। তিনি ভুল করে ওই বার্তায় ‘প্রতিবাদী অনশন’ লিখেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত ওই কর্মসূচিতে যোগও দেননি। কিন্তু দলের সংখ্যালঘু ফোরামের মুখ্য আহ্বায়ক রোশেনারা বেগম ওই সভায় অংশ নিলেও তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়নি। বেনজির আনন্দবাজারকে বলেন, “২০১২ সাল থেকে বিজেপিতে আছি। দলের খারাপ সময়ও সঙ্গ ছাড়িনি। বিজেপির ভিত্তি না থাকলেও জনিয়াতে বিজেপির হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে ভাল ফল করেছি। তার পরেও যে ভাবে সামান্য ভুলে আমার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল- তা অন্যায়। তিন তালাকের শিকার এক মহিলার বিরুদ্ধে সভাপতির এই আক্রোশমূলক কাজের জবাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাইব আমি।” তাঁর প্রশ্ন, রঞ্জিৎ দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এত অভিযোগ থাকলেও কেন তাঁকে সরানো হচ্ছে না? রাজ্য বিজেপি ও রঞ্জিৎবাবু খোদ অবশ্য বেনজিরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বেনজির জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। দল তাঁকে বহিষ্কার করলেও তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy