বাহরাইনে দাঁড়িয়ে রাহুল গাঁধীর সরকার বিরোধিতার জবাব দিতে মাঠে নামল বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্ররা আজ একসুরে কংগ্রেস সভাপতিকে আক্রমণ করেছেন। যে ভাবে একের পর এক বিজেপি নেতা রাহুলকে নিশানা করেছেন, তাতে স্পষ্ট, কংগ্রেস সভাপতি বিদেশের মাটিতে মুখ খোলায় রীতিমতো অস্বস্তিতে কেন্দ্র। নেতা-সাংসদরাই শুধু নন, নীরবতা ভেঙেছেন নরেন্দ্র মোদীও। দেশের অর্থনীতির নেতিবাচক ছবি তুলে ধরেছিলেন রাহুল। আর আজ দিল্লিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভিনদেশি সাংসদ ও মেয়রদের সামনে দেশের অর্থনীতিতে সংস্কারের সুফলকে তুলে ধরে লগ্নির আহ্বান জানান মোদী।
বাহরাইনে রাহুলের অভিযোগ ছিল, ভারতে ব্যক্তিগত বিশ্বাসের জন্য বলি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দেশের মানুষ কী খাবে, কী দেখবে— প্রশ্ন তোলা হচ্ছে তা নিয়েও। যুবকেরা চাকরি না পাওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। আর সেই ক্ষোভকে সাম্প্রাদায়িক উত্তেজনায় পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে। রাহুলের বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রবিশঙ্কর বলেন, ‘‘বিদেশে গিয়ে ঘৃণার রাজনীতি করছেন রাহুল। গুজরাতের ভোটে জাতিবিবাদ প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন তিনিই।’’ কংগ্রেস সভাপতিকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাহুল কেন উমর খালিদের মতো ঘোষিত দেশবিরোধীর পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তা স্পষ্ট করুন।’’
কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটাই রাহুলের প্রথম বিদেশ সফর। এ বার সংসদীয় দলের নেতাও হতে চলেছেন তিনি। বিজেপি নেতৃত্ব বুঝতে পারছেন, গুজরাত ভোট থেকেই হাওয়া ঘুরছে। পরিণত প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে আসছেন রাহুল। এই পরিস্থিতিতে বাহরাইনে রাহুল সরাসরি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় জোরালো আক্রমণে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর কটাক্ষ, ‘‘রাহুলের যদি মনে হয় দেশে এত সমস্যা, তা হলে বিদেশে না গিয়ে দেশে থেকেই সে সব সমাধানের চেষ্টা করা উচিত ছিল।’’
আজ দিল্লিতে বিভিন্ন দেশের ভারতীয় বংশোদ্ভূত আইনসভার সদস্য ও মেয়রদের নিয়ে সম্মেলনে মোদী বলেন, ‘‘আপনারা ভারতের সংস্কৃতিকে বিদেশের মাটিতে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আবার যে দেশে রয়েছেন সেই দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন।’’ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই মোদী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় জোর দিয়েছেন। যখন যে দেশেই গিয়েছেন, সেখানে বড় অথবা মাঝারি সম্মেলন করেছেন প্রবাসীদের নিয়ে। তাঁর লক্ষ্য, বিদেশি লগ্নি টানতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের কাজে লাগানো। আর এ ক্ষেত্রে অতিথিরা যে হেতু বিভিন্ন দেশে নীতি নির্ধারণের সঙ্গে যুক্ত, তাই কূটনীতির দিক থেকে ফায়দা তুলতে চান মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy