ফাইল চিত্র।
নায়িকা জয়ললিতা প্রয়াত হওয়ার পরে টুকরো হতে বসেছে তাঁর দল এডিএমকে। তামিল রাজনীতির আর এক নায়ক ডিএমকে-প্রধান করুণানিধি অবসরে। দ্রাবিড় জনমানসকে আবেগে আন্দোলিত করে তোলার সেই ভাবমূর্তি তাঁর ঘোষিত উত্তরাধিকারী পুত্র এস কে স্ট্যালিনের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর সেই শূন্যস্থান পূরণ করে দ্রাবিড় রাজনীতির শূন্য মাঠ দখলে বিজেপি নেমেছে দক্ষিণী নায়ক রজনীকান্তকে নেতৃত্বে আবাহন করে। এখন প্রশ্ন হল— রজনী কি রাজনীতির অঙ্গনে পা ফেলবেন? বিষয়টি নিয়ে নানা কথা তিনি বলছেন, যার মধ্যে ‘না’ শব্দটি সরাসরি নেই। আর তাতেই জল্পনা।
সচরাচর নিজের সিনেমা রিলিজের সময় ছাড়া কথা বলেন না রজনীকান্ত। কিন্তু এ সপ্তাহের গোড়ায় বিজেপি নেতা পন রাধাকৃষ্ণন তাঁকে দলে আমন্ত্রণ জানানোর পর হঠাৎই ভক্তদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেছেন থালাইভা। প্রশ্ন করা হয়েছিল, তবে কি রাজনীতিতে আসছেন তিনি? জবাবে রজনীর রহস্যমাখা জবাব, ‘‘ভগবান চাইলে কালই রাজনীতিতে আসতে পারি!’’
সোমবার থেকে রোজই চেন্নাইয়ের রাঘবেন্দ্র হলে ভক্তরা দেদার নিজস্বী তুলেছেন তাঁকে পাশে নিয়ে। থালাইভা বলেছেন, তাঁকে রাজনীতিতে না দেখলেও ভক্তরা যেন হতাশ হবেন না। ১৯৯৬-এ করুণানিধির জোটের পক্ষে সরাসরি মাঠে নেমেছিলেন রজনীকান্ত। মন্তব্য করেছিলেন, জয়ললিতা মুখ্যমন্ত্রী হলে ঈশ্বরও রক্ষা করতে পারবেন না রাজ্যকে। সেই ভোটে জয়ললিতা হেরে ভূত হওয়ার পিছনে থালাইভার এই মন্তব্য একটা বড় কারণ বলে মনে করা হয়। সোমবার ভক্তদের রজনী বলেছেন— ভুল করেছিলেন সে দিন। সেটা একটা রাজনৈতিক দুর্ঘটনা ছিল।
বুধবারও নিজস্বী তুলতে তিন-চার ঘণ্টা লাইন দিয়েছেন ভক্তরা। উড়ে এসেছে সেই অমোঘ প্রশ্ন— তবে কি...? নিজের বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ-র জানলা নামিয়ে রজনী উত্তর দিয়েছেন, ‘‘আগে যা বলেছি, সেটাই আমার কথা!’’ অর্থাৎ, না বলছেন না থালাইভা।
আর তা নিয়েই জল্পনার জল তামিলনাড়ু ছাপিয়ে গড়িয়েছে দিল্লি পর্যন্ত। রাজনীকে ধরে দ্রাবিড়ভূমিতে কি পা রাখতে পারবে বিজেপি? নাকি নতুন কোনও দল গড়ে ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে নামছেন থালাইভা, যাকে সমর্থন জোগাবে বিজেপি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy