রোহিত ভেমুলা থেকে উনা হয়ে সম্প্রতি ভীমা কোরেগাঁও— একের পর এক দলিত নিগ্রহের ঘটনায় কোণঠাসা নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে দলিত বিক্ষোভ সামাল দিতে অম্বেডকরের পাশাপাশি দলিত নেতা জগজীবন রামকেও আঁকড়ে ধরছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সঙ্ঘ মনোনীত দলিত প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দের মোকাবিলায় জগজীবন রামের কন্যা তথা লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমারকে প্রার্থী করেছিল বিরোধী জোট। প্রচারে জগজীবন রামের নামাঙ্কিত ভবন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগকে মীরার বিরুদ্ধে হাতিয়ার করেছিল বিজেপি। দলিত বিক্ষোভের আবহে এখন সেই ভবনটিই ঢেলে সাজছে মোদী সরকার! পাশাপাশি, সামাজিক ন্যায় মন্ত্রী থাওরচন্দ্র গহলৌত আজ জানান, প্রতি বছর জগজীবন রামের নামে স্মারক বক্তৃতা হবে। পাঠাগার নির্মাণ, চলচ্চিত্র তৈরি হবে। পাঠ্যপুস্তকে জগজীবনকে সামিল করার জন্য রাজ্যগুলিকে অনুরোধও জানানো হবে। সব মিলিয়ে এই খাতে ২ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছে কেন্দ্র। এই প্রসঙ্গেই গহলৌত জানান, অম্বেডকরের পঞ্চতীর্থকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে তিনি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকরকে চিঠি দিয়েছেন।
ভীমা কোরেগাঁওয়ের ক্ষত ঢাকতেও চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না সঙ্ঘ। ওই ঘটনায় সঙ্ঘ তথা বিজেপির দলিত বিরোধী মনোভাব ফুটে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে নানা মহলে। এই আবহে ভীমা কোরেগাঁও নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করল সঙ্ঘ। সেখানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স-এর শিক্ষক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধ ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও পেশোয়াদের মধ্যে। কিন্তু অম্বেডকরবাদীরা এটিকে মহার ও মরাঠাদের সংঘর্ষ বলে প্রচার করে, যা অম্বেডকরের বিচার ও দর্শনের বিরোধী। প্রসার ভারতীয় প্রাক্তন উপদেষ্টা জ্ঞানেন্দ্র বরতরিয়া জানান, ভীমা-কোরেগাঁওয়ে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ঘটনা সুপরিকল্পিত চক্রান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy