কট্টরপন্থীরা নন, হুরিয়তের নরনপন্থী নেতা আব্বাস আনসারি এ বার ভারত সরকারের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যা্খ্যান করলেন। —ফাইল চিত্র।
সরকার আলোচনার বার্তা দিয়েছে সোমবার। মঙ্গলবারই ধাক্কা দিল হুরিয়ত কনফারেন্স। ভারত সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনায় প্রস্তুত নয় হুরিয়ত। জানালেন সংগঠনের প্রবীণ নেতা মৌলবি আব্বাস আনসারি। যতক্ষণ না পাকিস্তানকেও আলোচনায় ডাকছে ভারত, ততক্ষণ নয়াদিল্লির প্রতিনিধির সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার কোনও অর্থই হয় না, মন্তব্য হুরিয়ত নেতার।
ভারত সরকার যতই শান্তির আহ্বান জানাক, পাকিস্তানকে আলোচনায় সামিল না করলে কোনও শান্তি উদ্যোগে সাড়া দিতে হুরিয়ত প্রস্তুত নয় বলে জানিয়েছেন আনসারি। তিনি বলেছেন, ‘‘যত ক্ষণ না তিন পক্ষই (ভারত, পাকিস্তান, হুরিয়ত) একসঙ্গে আলোচনায় বসছে, তত ক্ষণ কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সোমবারই ঘোষণা করেছেন, জম্মু-কাশ্মীরে ফের আলোচনার উপর জোর দিতে চায় সরকার। শান্তি বজায় রাখতে সরকার সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত বলেও রাজনাথ জানান। আলোচনার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান দীনেশ্বর শর্মাকে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা হিজবুলে, দিল্লিতে ধৃত সালাউদ্দিনের ছেলে
সরকারের প্রতিনিধি দীনেশ্বর শর্মা কি হুরিয়ত কনফারেন্সের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন? সাংবাদিক সম্মেলনে সোমবার এমন প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছিল রাজনাথকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জম্মু-কাশ্মীরের স্বার্থে সব পক্ষের সঙ্গেই আলোচনায় বসার স্বাধীনতা রয়েছে দীনেশ্বরের।
আরও পড়ুন: জাতীয় সড়কে যুদ্ধবিমান নামাল বায়ুসেনা, বিশেষ অভিযানে প্রস্তুত ভারত
আলোচনার প্রশ্নে সরকার যতই উদারতা দেখাক, হুরিয়ত যে নরম হতে রাজি নয় তা কিন্তু মঙ্গলবার বুঝিয়ে দেওয়া হল। মৌলবি আব্বাস আনসারি হুরিয়ত কনফারেন্সের নরমপন্থী নেতা হিসেবেই পরিচিত। সেই আব্বাস আনসারির গলাতেও যে ভাবে কট্টরপন্থী সুর শোনা গিয়েছে, যে ভাবে পাকিস্তানকেও আলোচনায় সামিল করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি, তা নয়াদিল্লিকে মোটেই স্বস্তি দেবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy