Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পুলিশের লাঠিতে উত্তাল বিএইচইউ

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর অভিযোগ, ক্যাম্পাসের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখের সামনেই বহিরাগত তিন বাইক আরোহী তাঁকে হেনস্থা করে। কিন্তু সব দেখেও চুপ করে ছিলেন নিরাপত্তা কর্মীরা।

মুখোমুখি: পুলিশের বিরুদ্ধে সরব ছাত্রীরা। বিএইচইউ চত্বরে। ছবি: পিটিআই।

মুখোমুখি: পুলিশের বিরুদ্ধে সরব ছাত্রীরা। বিএইচইউ চত্বরে। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
বারাণসী শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৪৪
Share: Save:

ক্যাম্পাসের ভিতরেই প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। তাতে পদক্ষেপ করা তো দূর, উল্টে কাল গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে প্রতিবাদী পড়ুয়াদের উপরেই লাঠি চালাল পুলিশ। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন ছাত্রছাত্রী। মোবাইলে তোলা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হস্টেলের বাইরে ছাত্রীদের উপরে লাঠি চালাচ্ছে পুরুষ পুলিশ। এই ঘটনায় উত্তাল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ)। নিজের কেন্দ্র বারাণসী থেকে সবে দিল্লি ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদী। এই সময় এমন ঘটনা বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি করি না’ বলেও মোদীর রাজনীতি

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর অভিযোগ, ক্যাম্পাসের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখের সামনেই বহিরাগত তিন বাইক আরোহী তাঁকে হেনস্থা করে। কিন্তু সব দেখেও চুপ করে ছিলেন নিরাপত্তা কর্মীরা। তিনি হস্টেলে ফিরে যান। হস্টেল ওয়ার্ডেন বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর বদলে তাঁকেই বকাবকি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের থেকে সহযোগিতা না মেলায় বিক্ষোভ ছড়ায়় পড়ুয়াদের মধ্যে। ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা ধর্নায় বসেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করতে চান তাঁরা। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। গত রাতে উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের আটকান, পুলিশকে খবর দেয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, জোর করে উপাচার্যের বাসভবনে ঢুকতে চাইছিলেন পড়ুয়ারা। এমনকী তাদের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিল বহিরাগতরাও। সেখান থেকেই ঢিল ছোড়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতেই বাধ্য হয়ে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়েছে বলে যুক্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে পড়ুয়াদের অভিযোগ, লাঠি চালানো হয়েছে কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই। এমনকী মহিলা হস্টেলেও ঢুকে পড়তে চাইছিল পুলিশ।

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়েও হারের মুখ দেখতে হয়েছে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপিকে। মোদীর কেন্দ্রে এমন নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগী সরকারের পুলিশ লাঠি চালানোয় আলোড়ন উঠেছে। মোদীকে তোপ দেগে রাহুল গাঁধীর মন্তব্য, ‘‘এটা হল বিজেপির বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াওয়ের নমুনা!’’ আর অখিলেশ থেকে শরদ যাদব— পুলিশি বাড়াবাড়ি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ ডিভিশনাল কমিশনারকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও আশ্বাস দিয়েছেন, ইভটিজিংয়ের ঘটনা নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE