Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ইভিএম চ্যালেঞ্জে নেই মায়া-কেজরী

উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই মায়াবতীর বিএসপি বা কেজরীবালের আম আদমি পার্টি ইভিএমের কারচুপির অভিযোগ তুলে সব চেয়ে বেশি সরব ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৭ ০৩:৪২
Share: Save:

ইভিএম হ্যাকিং করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে এগিয়ে এল একমাত্র শরদ পওয়ারের দল এনসিপি। গত শনিবার ইভিএম হ্যাকিং করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সাত দিনের সময়সীমা শেষ হতে দেখা গেল যে অরবিন্দ কেজরীবালের দল দিল্লি বিধানসভায় নকল ইভিএমে কারচুপি করে দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনের চাপ বাড়িয়েছিল, কার্যক্ষেত্রে পিছিয়ে এল তারাই।

উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই মায়াবতীর বিএসপি বা কেজরীবালের আম আদমি পার্টি ইভিএমের কারচুপির অভিযোগ তুলে সব চেয়ে বেশি সরব ছিলেন। সর্বদলীয় বৈঠকের পরে গত শনিবার ইভিএম হ্যাকিং করার চ্যালেঞ্জ জানায় নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩ জুন থেকে ওই তা হওয়ার কথা। এই হাকিং-পরীক্ষা কী ভাবে হবে, তার কিছু নিয়মকানুন বেঁধে দেয় কমিশন। তাতেই আপত্তি জানায় আপ। পরে আপ ও কংগ্রেস-এই দু’দল ইভিএম হ্যাকিং করার প্রশ্নে বাড়তি ছাড়ের দাবি জানালে তা-ও খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।

কমিশনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ না করার পিছনে যুক্তি কী? আপ নেতা গোপাল রাই বলেন, ‘‘আমাদের দল এই নাটকে নেই। নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল রাজনৈতিক দলগুলিকে খোলা হাত দেওয়া। তা হলেই ইভিএমে কোনও খামতি রয়েছে কি না তা স্পষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু কমিশন গোটা বিষয়টি বাধানিষেধের গণ্ডিতে আটকে দেওয়ায় প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হবে না।’’

ইভিএমে কারচুপি করার জন্য প্রয়োজনীয় তিন সদস্যের দল গঠনে কমিশনের কাছে বাড়তি সময় দাবি করেছিল তৃণমূল। কিন্তু খারিজ হয়ে যায় সেই আবেদনও।
সরাসরি কারচুপিতে অংশ না নিলেও, কী ভাবে কারচুপি হচ্ছে তা দেখার জন্য কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছে সিপিআই, সিপিএম, বিজেপি ও আরএলডি-র মতো দলগুলি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE