Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

কন্ডাক্টরের পরিবার পাল্টা মামলার পথে

অশোকের পরিবার অবশ্য এতে সন্তুষ্ট হতে নারাজ। পুলিশ ও স্কুল কতৃর্পক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করতে চলেছে তারা। একাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়া গ্রেফতার হওয়ার পরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল অশোকের পরিবার।

প্রদ্যুম্ন ঠাকুর।

প্রদ্যুম্ন ঠাকুর।

সংবাদ সংস্থা
গুরুগ্রাম শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৮
Share: Save:

হরিয়ানা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল তাঁকে ধরেছিল ছ’বছরের প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের খুনি ও যৌন হেনস্থাকারী সন্দেহে। তীব্র ঘৃণা উগরে দিয়েছিল গোটা দেশ। এখন সিবিআই বলছে, গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র প্রদ্যুম্নকে খুনের কথা স্বীকার করেছে ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়া। খুনের উদ্দেশ্য ছিল, গোলমাল পাকিয়ে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া। অর্থাৎ, প্রদ্যুম্নদের স্কুলবাসের কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে ওই শিশুটির খুনি বলে সন্দেহ করছেন না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

অশোকের পরিবার অবশ্য এতে সন্তুষ্ট হতে নারাজ। পুলিশ ও স্কুল কতৃর্পক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করতে চলেছে তারা। একাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়া গ্রেফতার হওয়ার পরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল অশোকের পরিবার। তাঁর বাবা আমিরচাঁদের দাবি, জোর করে যে অশোককে ফাঁসানো হচ্ছিল তা এখন স্পষ্ট। এমনকী, অত্যাচার করে খুনের দায়ও অশোককে নিজের কাঁধে নিতে বাধ্য করেছিল পুলিশ। তিনি জানান, গ্রামবাসীরা অশোকের পাশে রয়েছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করার জন্য আমিরচাঁদকে আর্থিক ভাবে সাহায্যও করছেন তাঁরা।

কোনও কোনও রিপোর্টে আবার দাবি করা হয়েছে, প্রদ্যুম্নকে খুনের জন্য যে ছুরি ব্যবহার করেছিল ধৃত পড়ুয়া, তা আসলে তাঁকে অশোকই জোগান দিয়েছিলেন। সেই দাবি কার্যত খারিজ করে দিয়েছে সিবিআই। জানিয়ে দিয়েছে, স্থানীয় বাজার থেকে ওই ছুরি কিনেছিল অভিযুক্ত। ‘অশোকের ছুরি’ বলে পুলিশ সম্পূর্ণ অন্য একটি ছুরি হাজির করেছিল বলেও সিবিআই সূত্রের অভিযোগ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানান, অশোকের বিরুদ্ধে তেমন তথ্যপ্রমাণ নেই। এর পরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিজেপি সরকার ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে আক্রমণ শুরু করে বিরোধী দলগুলো। অশোক এখনও হেফাজতে রয়েছেন। তিনি প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন কি না, তা দেখা হচ্ছে।

অশোকের গ্রেফতারির ক্ষেত্রে হরিয়ানা পুলিশের ‘সিট’ যে তাড়াহুড়ো করেছিল, তা এ দিন কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন গুরুগ্রামের পুলিশ কমিশনার সন্দীপ খিরওয়ার। তবে প্রদ্যুম্ন খুনের তদন্ত এত তাড়াতাড়ি সিবিআইকে দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সিট।

ধৃত একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে আজ দিল্লিতে সিবিআইয়ের সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সিবিআইয়ের দাবি, কালই খুনের কথা স্বীকার করেছে সে। প্রথমে ৫ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছিল। সেই তারিখ এগিয়ে ১৭ নভেম্বর ধার্য করেছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালত। রায়ান স্কুলের তিন ট্রাস্টি সদস্যের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনের শুনানিও হবে ওই দিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE