এটিএম। ফাইল চিত্র।
সন্দেহটা দানা বাধছিল দিন কয়েক ধরেই। তবে কি কর্নাটক ভোটে ব্যবহারের জন্যেই বিপুল পরিমাণে টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে? বেআইনি মজুতদারদের সন্ধান করতে গিয়ে কিন্তু সেই কর্নাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশে দফায় দফায় অভিযান চালাচ্ছে আয়কর দফতর। জানা গিয়েছে দিন কয়েকের মধ্যে ৩০-৩৫ টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। অন্যদিকে, আর্থিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সঙ্কট এতটাই জটিল যে রাতারাতি পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
কিন্তু এরপরেও প্রশ্ন, সময় লাগলে কতটা? বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকা জোগান দেওয়া গেলে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হবে। কিন্তু সেই নোট ছাপাতে সময় লাগবে অন্তত দু’সপ্তাহ। অতএব কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি যতই আশ্বাসবাণী শোনান না কেন, সমস্যা আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলোর বক্তব্য, তাদের কাছ থেকে বেরিয়ে যাওয়া দু’হাজারের নোটের বড়অংশই ফেরত আসছে না। আশঙ্কা, কর্নাটকের আসন্ন বিধানসভা ভোটে ব্যবহার করা হবে বলেই হয়তো সেই নোট বেআইনি ভাবে মজুত করা হচ্ছে। যদিও কর্নাটকে আয়কর দফতরের তল্লাশি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা এখন তুঙ্গে। গত সোমবার আয়কর দফতরের বিশেষ দল হানা দেয় বি শিবান্ন নামে এক কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে।এর পরেই কংগ্রেসের অভিযোগ, আয়কর দফতরকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: নোটের আকাল সামলাতে আসরে নামল প্রধানমন্ত্রীর দফতর
আরও খবর: পাক সীমান্তে সেনা সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে কেন্দ্র
অন্যদিকে, নোটসঙ্কট মোকাবিলার জন্য বিহারের এটিএম ব্যবস্থায় নতুন করে ৮০০-৯০০ কোটি টাকা জোগান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্ধ্র, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যগুলোয় সমস্যা এখনও গভীর। নোটসঙ্কটের মোকাবিলা করার জন্য ৫০০ টাকার নোট পাঁচ গুণ বেশি ছাপানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy