কাঠুয়া ধর্ষণ ও খুনের মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে রাজি কেন্দ্র। অন্য দিকে মেহবুবা মুফতির সরকার জানিয়েছে, তারা এই মামলার শুনানি রাজ্যের বাইরে সরানোর বিরোধিতা করবে। কাঠুয়া নিয়ে টানাপড়েনের জেরে বিজেপি-পিডিপি জোটে স্বস্তি ফেরাতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর দল। তাই মেহবুবা সরকারে বিজেপির বর্তমান মন্ত্রীরা সকলেই ইস্তফা দিয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
জম্মুর কাঠুয়ায় বকরওয়াল জনজাতির বছর আটেকের এক শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের মামলা নিয়ে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ হয়েছে রাজ্যে। বিজেপির একাংশ অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়ানোয় নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই পরিস্থিতিতে ওই মামলার শুনানি জম্মু থেকে চণ্ডীগড়ে সরাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার বাবা। শীর্ষ আদালত এ নিয়ে মেহবুবা মুফতি সরকারের মত জানতে চেয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের পরিবার-সহ বিভিন্ন শিবির দাবি জানিয়েছে সিবিআই তদন্তের। তাদের দাবি, রাজ্য পুলিশের অপরাধ দমন শাখা নিরপেক্ষ তদন্ত করছে না।
আজ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানান, এই ঘটনার সিবিআই তদন্তে কেন্দ্রের কোনও আপত্তি নেই। যদি রাজ্য সরকার আজ সুপারিশ করে তবে এখনই মামলাটি ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে। আদালতও এই বিষয়ে নির্দেশ দিতে পারে। অন্য দিকে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের আইনমন্ত্রী আব্দুল হক খান জানিয়েছেন, এই মামলার শুনানি রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করা হবে। কারণ, রাজ্য সরকার নির্যাতিতাকে দ্রুত সুবিচার দেওয়ার বিষয়ে বদ্ধপরিকর। কাঠুয়ায় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট নেই। তাই মামলাটি শ্রীনগর বা জম্মুতে সরানো হবে। রাজ্যপাল এন এন ভোহরাও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ওই মামলার প্রতি দিন শুনানির পক্ষে সওয়াল করেন।
অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়ানোর ফলে মেহবুবা মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বিজেপি-র দুই নেতা লাল সিংহ ও চন্দ্রপ্রকাশ গঙ্গা। কিন্তু তাতে যে তাঁরা পুরোপুরি দমে যাননি তা বোঝা গিয়েছে আজ। এ দিন জম্মুর সাতওয়ারি চক থেকে ঘটনাস্থল কাঠুয়ার কুটাহ গ্রামে মিছিল করে যান তাঁরা। পরে লাল সিংহ বলেন, ‘‘নির্যাতিতা আমাদেরও মেয়ে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা দরকার।’’ তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মেহবুবার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছেন বলেই দাবি বিজেপি সূত্রের। দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়, মেহবুবা সরকার থেকে বর্তমান সব মন্ত্রীই ইস্তফা দিয়েছেন। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সৎ শর্মার কাছে নিজেদের ইস্তফা পাঠিয়েছেন তাঁরা। মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আনতে চাইছেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাতে কাঠুয়া-অস্বস্তি কিছুটা কাটবে বলে আশা তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy