প্রতীকী ছবি।
গরুকে চিহ্নিত করে পাচার রুখতে এ বার তাদের জন্যও ‘আধার কার্ড’ জাতীয় এক ছাতার তলায় আনার কথা ভাবছে কেন্দ্র। সোমবার এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
গো-রক্ষায় বহু দিন ধরেই কেন্দ্র তৎপর। সম্প্রতি তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিবের তত্ত্বাবধানে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই গরুদের জন্য এই বিশেষ ‘আধার কার্ডে’র বিষয়টি উঠে আসে। আধার কার্ড বলতে সাধারণত আমরা যা বুঝি এটা ঠিক তেমন নয়। এ ক্ষেত্রে গরুর চোখ এবং আঙুল স্ক্যান করার প্রয়োজন নেই। তবে, আধার কার্ডের মতো এ ক্ষেত্রেও ইউনিক আইডেনটিফিকেশন নম্বর থাকবে। কেন্দ্রীয় অ্যানিম্যাল হাজব্যান্ড্রি বিভাগ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দেশের প্রত্যেকটি গরুকে ১২ ডিজিটের একটি ইউনিক নম্বর দেওয়ার জন্য বেশ কিছু টেকনিশিয়ান নিযুক্ত করেছে কেন্দ্র। নম্বর লেখা হলুদ রঙের ওই ট্যাগটি গরুর কানের মাঝে লাগানো হয়। এ জন্য টেকনিশিয়ানদের জন্য ৫০ হাজার ট্যাব বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। ট্যাগ আটকানো হয়ে গেলে ওই ট্যাবের মাধ্যমেই টেকনিশিয়ানরা অনলাইন ডেটাবেস আপডেট করবেন। তা হয়ে গেলে প্রত্যেক গরুর মালিককে গরু প্রতি একটা করে হেল্থ কার্ডও দেওয়া হবে। ওই হেল্থ কার্ডে মালিকের বিবরণ, গরুটির টিকার নথি থেকে শুরু করে প্রজননের বিবরণও দেওয়া থাকবে। ফলে নির্দিষ্ট কোনও গরুকেও ট্র্যাক করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: কোরীয় জলসীমায় ঢুকছে মার্কিন স্ট্রাইক গ্রুপ, উদ্বেগ চিনের
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সর্বাধিক গরু পাচার হয়ে থাকে। মূলত সে দিকটা মাথায় রেখেই কেন্দ্রের এই প্রয়াস। ট্যাগ, টেকনিশিয়ান, ট্যাব এবং হেল্থ কার্ডের জন্য প্রাথমিক ভাবে ১৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ভেবেছে কেন্দ্র। পাচার রুখতে ইতিউতি ঘুরে বেড়ানো অন্তত ৫০০টি গরুকে আশ্রয় দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতি জেলাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy