লোকসভা নির্বাচনের আগে বিদেশে থাকা কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।
আর এক লোকসভা ভোটের এক বছর আগে তাঁর সরকারের স্বীকারোক্তি, বিদেশে কত কালো টাকা আছে, তা তারা জানেই না !
ভারত থেকে যাওয়া কী পরিমাণ কালো টাকা বিদেশে গচ্ছিত রয়েছে তা আজ লোকসভায় মোদী সরকারের জানতে চেয়েছিলেন দুই সাংসদ। জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী শিবপ্রতাপ শুক্ল বলেন, ‘‘বিদেশে কত কালো টাকা অবৈধ ভাবে জমা রয়েছে, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কোনও তথ্য নেই। সেই কালো টাকা ভারতের জিডিপি-র কত শতাংশ তা-ও সরকার জানে না।’’
ওয়াশিংটনের গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি সংস্থার হিসেব অনুযায়ী ২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ভারত থেকে কর ফাঁকি দিয়ে অন্তত ৩৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিদেশ পাড়ি দিয়েছে। ২০১৪-য় ক্ষমতায় আসার পরে দেশবাসীকে স্বেচ্ছায় কালো টাকা জানানোর একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। তাতে মাত্র চার হাজার কোটির টাকার খোঁজ মিলেছে।
টাকা না ফিরলেও সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির দাবি ছিল, সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের রাখা টাকার বিষয়ে সে দেশের সরকার তথ্য দিতে রাজি হয়েছে। তথ্য মেলে আরও কয়েকটি দেশ থেকেও। কিন্তু সমস্যা হল, কেন্দ্র সক্রিয় হতেই বিদেশের ব্যাঙ্ক থেকে টাকা সরানো শুরু হয়ে যায়। রাজস্ব দফতর দেখেছে, সুইস ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চলে গিয়েছে দুবাই বা সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে। তার পরে সেই টাকা যদি কোনও ভুয়ো নামে কোথাও লগ্নি করে দেওয়া হয়, তা হলে, কার টাকা কোন ব্যবসায় খাটতে শুরু করছে তা বোঝা মুশকিল। ফলে বিদেশে থাকা কালো টাকা ফেরত আনা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছে অর্থ মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy