বিমল গুরুঙ্গকে ঘিরে সিকিম-পশ্চিমবঙ্গের যে বিতর্ক, তা এ বার চলে এল দিল্লির দরবারে। এবং এই বিতর্কে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে মর্যাদা দিয়েই কেন্দ্র জানিয়ে দিল, দুই রাজ্য নিজেদের মধ্যে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নিক।
এ দিন দিল্লিতে ছিল পূর্ব ভারতীয় মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলন। তাতে যোগ দিতে দিল্লি যান সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবনকুমার চামলিং। তাঁর দল এনডিএ জোটের শরিকও বটে। তিনি অভিযোগ করেন, দার্জিলিঙে গোলমালের ফলে সিকিমের পর্যটনশিল্প থেকে শুরু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগানে সমস্যা হচ্ছে। বৈঠকে উপস্থিত বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ তখন আশ্বাস দেন, দ্রুত দার্জিলিং সমস্যার সমাধান হবে।
কী সমীকরণ মেনে ওই সমাধান হবে, তার ব্যাখ্যায় বিজেপি নেতৃত্ব জানান, দার্জিলিঙের শান্তি ফেরাতে কেন্দ্র সক্রিয় রয়েছে। তবে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কবে তিন শিবির একসঙ্গে বৈঠকের টেবিলে বসবে, তা নিয়ে পরে প্রশ্ন করা হলে স্পষ্ট কোনও দিশা দিতে চাননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তিনি স্পষ্ট জানান, ‘‘ত্রিপাক্ষিক বৈঠক কবে হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।’’
সম্প্রতি গুরুঙ্গকে ধরতে নামচিতে যে অভিযান চালায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ, দু’পক্ষই দু’পক্ষকে দোষারোপ করেছে। আগাম চিঠি দিয়ে সব কিছু জানিয়ে ইউএপিএ-তে অভিযুক্তকে ধরতে যাওয়ার পরেও কেন বাধা পেতে হল, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল্লির দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেছে পশ্চিমবঙ্গ। এ দিন চামলিং নিজেই রাজধানীর কোর্টে বল ঠেলে দিলেন।
আরও পড়ুন:কাজ করেও বোঝাতে পারিনি, হতাশ রুডি
পশ্চিমবঙ্গ সরকার অবশ্য মনে করছে, গুরুঙ্গ খুব বেশি দিন সিকিমে লুকিয়ে থাকতে পারবেন না। চামলিং প্রশাসনের একাংশই আর চাইছে না, গুরুঙ্গের জন্য তাদের ঝামেলা বাড়ুক। সিকিম নানা কারণে পশ্চিমবঙ্গের উপরে নির্ভরশীল। তাই দু’রাজ্যের কেউই চায় না, কোনও এক জনের জন্য সম্পর্ক খারাপ হোক। পশ্চিমবঙ্গের এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, বিশেষ করে গুরুঙ্গের মতো কোনও সাধারণ রাজনৈতিক ব্যক্তির জন্য সেটা হতে দেওয়া ঠিকও নয়। ওই কর্তার বক্তব্য, পাহাড়ের সমস্যা মিটতেও বেশি সময় লাগবে না। সিকিমের সঙ্গেও সম্পর্ক ভাল হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy