Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

চিনকে রুখতে ব্রহ্মপুত্রের তলায় সুড়ঙ্গ বানাচ্ছে সেনা

ব্রহ্মপুত্রের উপরকার সেতু যদি কোনও ভাবে ধ্বংস হয়ে যায়, তা হলেও অস্ত্রশস্ত্র, সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে সেনা যাতায়াত যাতে বন্ধ না-হয়, সেই জন্যই এই সুড়ঙ্গ তৈরির সিদ্ধান্ত। রবিবার ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনীর কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথাবার্তার ফাঁকে এ কথা জানা গেল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৫২
Share: Save:

উপরে চলছে সুদীর্ঘ সেতু নির্মাণের কর্মযজ্ঞ। সেই সঙ্গে ব্রহ্মপুত্রের তলায় এ বার সুড়ঙ্গ বানাবে কেন্দ্রীয় সরকার। সেনা যাতায়াত অবাধ রাখার জন্য।

ব্রহ্মপুত্রের উপরকার সেতু যদি কোনও ভাবে ধ্বংস হয়ে যায়, তা হলেও অস্ত্রশস্ত্র, সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে সেনা যাতায়াত যাতে বন্ধ না-হয়, সেই জন্যই এই সুড়ঙ্গ তৈরির সিদ্ধান্ত। রবিবার ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনীর কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথাবার্তার ফাঁকে এ কথা জানা গেল। বিষয়টি এখনও পরিকল্পনার স্তরে রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের কোন কোন এলাকায় সুড়ঙ্গ বানানো হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে একাধিক সুড়ঙ্গ তৈরির পথেই এগোচ্ছে কেন্দ্র।

চিনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতের শীর্ষ কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ অজস্র। ডোকলামে চিনা সেনাদের আগ্রাসন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দিল্লি। অরুণাচলের সঙ্গে চিন সীমান্ত নিয়ে চিন্তিত সেনাবাহিনীও। তাই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে পানাগড়, কলাইকুন্ডার মতো বায়ুসেনা ঘাঁটির শক্তি বাড়ানো হচ্ছে। উত্তর-পূর্বে সেনাবাহিনীর ঘাঁটিকেও ঢেলে সাজছে কেন্দ্র।

সেনা সূত্রের খবর, এ-সবই হচ্ছে চিনের আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখে। ডিব্রুগড়ে ব্রহ্মপুত্র নদের উপরে সাড়ে ন’কিলোমিটার লম্বা সেতু বানানো হয়েছে। দোলাসাদিয়া নামে এই সেতুটি এখনও চালু হয়নি। সীমান্তে তৈরি হচ্ছে নতুন রাস্তা ও সেতু। পরিকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবেই ঠিক হয়েছে, সুড়ঙ্গ বানানো হবে। ডোকলাম-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে সেনা সূত্রের দাবি।

প্রতি বছরেই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করে ভারতীয় সেনা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এই দিনেই পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্ত করা হয়েছিল বাংলাদেশকে। পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করেছিল ভারতীয় বাহিনীর কাছে। পূর্বাঞ্চলে ফৌজি অপারেশনের দায়িত্বে থাকা মেজর জেনারেল আর নাগরাজ রবিবার জানান, ১৬ তারিখে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এই প্রথম কলকাতা থেকে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনার অফিসারেরা বাংলাদেশ যাচ্ছেন। কলকাতাতেও ১৩-১৭ ডিসেম্বর ভারতীয় বাহিনীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা। ১৩-১৪ ডিসেম্বর প্রিন্সেপ ঘাটে মিলিটারি ব্যান্ড এবং রেসকোর্সে হেলিকপ্টার ও ঘোড়সওয়ার বাহিনীর বিশেষ প্রদর্শনী দেখতে পাবে আমজনতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE