—প্রতীকী চিত্র।
পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পর থেকেই কেমন যেন মনমরা ছিল ছোট্ট নবনীত। রাতের খাওয়ায় ঠিকমতো খায়নি। সে দিন রাতেই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ক্লাস ফাইভের ওই ছাত্রকে। সেখানেই গত বুধবার মৃত্যু হয় তার। বছর বারোর এই বালকের মৃত্যুর পরই সামনে এসেছে একটি সুইসাইড নোট। যেখানে এক শিক্ষিকার কড়া শাস্তির উল্লেখ করেছে ছোট্ট নভনীত প্রকাশ। সেই শাস্তি সহ্য করতে না পেরেই যে সে আত্মঘাতী হচ্ছে তা-ও লেখা রয়েছে ওই নোটে। ঘটনাটি গোরক্ষপুরের সেন্ট অ্যান্টনি স্কুলের।
নভনীতের সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, “বাবা, আজ আমার প্রথম পরীক্ষা ছিল। সওয়া ন’টা পর্যন্ত আমার ক্লাস টিচার আমাকে কাঁদিয়েছেন। আমাকে টানা তিন পিরিয়ড ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। তিনি সেই সব ছাত্রকেই বিশ্বাস করেন যারা তাঁকে তোষামোদ করে। আজ আমি নিজেকে শেষ করতে চলেছি। আমার ক্লাস টিচারকে বলো, দয়া করে যেন এমন শাস্তি কাউকে না দেন। বাবা, মা, দিদি...বিদায়।”
আরও পড়ুন:
মন্ত্রীর কনভয়ে গ্রেনেড, হত তিন
সাংবাদিক হত্যায় ধৃত দুই ত্রিপুরায়
নভনীতের বাবা রবি প্রকাশ নিজে একজন পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক। রবিবাবুর অভিযোগ, ওই শিক্ষিকা (ভাবনা) তাঁর টিউশন ক্লাসে ভর্তি হওয়ার জন্য অনেকদিন ধরেই নভনীতের উপর চাপ সৃষ্টি করছিল। ফলে, স্কুলে নানা ভাবে তাঁর ছেলেকে মানসিকভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছিল।
সেই সুইসাইড নোট।
গতকাল, বৃহস্পতিবার শাহপুর থানায় নবনীতের পরিবার স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। পুলিশ সুপার বিনয়কুমার সিংহ বলেন, “আমরা অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছি। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy