Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

১৬ ধীবর-সহ ট্রলার উদ্ধারে বিমান-জাহাজ

একে খারাপ আবহাওয়া। তার উপরে প্রপেলারে জড়িয়ে গিয়েছে মাছ ধরার জাল। মৎস্যজীবীদের নিয়ে মাঝসমুদ্রে দিশাহারা হয়ে পড়ে একটি ট্রলার। শেষ পর্যন্ত একটি বিমান এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি জাহাজের তিন দিনের চেষ্টায় ট্রলারটিকে উদ্ধার করা হয়। ধীবরেরা অক্ষত আছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৪ ০৩:২২
Share: Save:

একে খারাপ আবহাওয়া। তার উপরে প্রপেলারে জড়িয়ে গিয়েছে মাছ ধরার জাল। মৎস্যজীবীদের নিয়ে মাঝসমুদ্রে দিশাহারা হয়ে পড়ে একটি ট্রলার। শেষ পর্যন্ত একটি বিমান এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি জাহাজের তিন দিনের চেষ্টায় ট্রলারটিকে উদ্ধার করা হয়। ধীবরেরা অক্ষত আছেন।

ঘটনাটি রবিবারের। উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রের খবর, ওই দিন খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেই ১৬ জন ধীবর সাগরদ্বীপ থেকে ‘বাবা লোকনাথ’ নামে একটি ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। সাগরদ্বীপ থেকে প্রায় ৬৪ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে পৌঁছে আটকে যায় তাঁদের ট্রলার। ঘোর দুর্যোগের মধ্যে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠতে থাকে। কিন্তু ট্রলারের এগোনো বা পিছোনোর নাম নেই। উদ্ধারের আশায় বিপদসঙ্কেত পাঠাতে থাকেন ধীবরেরা। সঙ্কেত পেয়ে উপকূলের কাছাকাছি থাকা কিছু নৌকা আটকে পড়া ট্রলারটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু উত্তাল সমুদ্রের দাপটে সেই সব নৌকা ওই ট্রলার পর্যন্ত পৌঁছতেই পারেনি। অগত্যা খবর দেওয়া হয় উপকূলরক্ষী বাহিনীকে।

বিকেলেই হলদিয়া থেকে ‘রাজকিরণ’ নামে উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি জাহাজকে পাঠানো হয় ট্রলারটির খোঁজে। কিন্তু ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার জন্য সেটি তেমন গতি তুলতে পারেনি। আগ্রাসী সমুদ্রে ট্রলারটি তখন মোচার খোলার মতো চরম বিপদের প্রহর গুনছে। নিজের উপরে তার তখন কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই। সমুদ্রের খামখেয়াল তাকে যে-দিকে খুশি ঠেলে নিয়ে চলেছে। ধীবরেরা বিপন্ন জেনেও রবিবার আর উদ্ধারকাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়নি। সোমবার সকালে ট্রলারটির অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য কলকাতা বিমানবন্দর থেকে উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি বিমান পাঠানো হয়। বিমান থেকে রাজকিরণ জাহাজে খবর পাঠানো হয়, ঢেউয়ে ঢেউয়ে ট্রলারটি আরও সাত নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে সরে গিয়েছে। অবশেষে সোমবার রাতে রাজকিরণই ট্রলারটিকে খুঁজে বার করে। ওই জাহাজের সাহায্যেই ট্রলারটিকে টেনে নিয়ে এসে মঙ্গলবার রাতে সাগরদ্বীপের কাছে সেটির মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। ১৬ জন ধীবরই রক্ষা পেয়েছেন। উপকূলরক্ষী বাহিনীর খবর, দুর্যোগ তো ছিলই। তার উপরে ধীবরদের ফেলা জাল জড়িয়ে গিয়েছিল ট্রলারের প্রপেলারে। দুইয়ে মিলে এই বিপত্তি।

‘জগত্তারিণী’ নামে অন্য একটি ট্রলারও মঙ্গলবার মাছ ধরতে গিয়ে মাঝসমুদ্রে আটকে পড়ে। তবে ‘বাবা লোকনাথ’-এর মতো সমস্যা হয়নি সেটিতে। উদ্ধারেও দেরি হয়নি। জগত্তারিণীর বিপদসঙ্কেত আসতেই হলদিয়া থেকে একটি হোভারক্রাফ্ট পাঠানো হয় ট্রলারটিকে উদ্ধার করতে। সাগরদ্বীপ থেকে প্রায় ৪০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে বিপদে পড়েছিল ট্রলারটি। উপকূলরক্ষীদের হোভারক্রাফ্টই তাকে উদ্ধার করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coastguard trawler fishermen
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE