Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

কীসের ‘অবসর’, জল্পনা ওড়াল দলই

সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়েই কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরি বলেন, ‘‘আমরা কোনও ভাবেই চাই না, সনিয়া গাঁধী অবসর নিন। গাঁধী পরিবার কখনওই ক্ষমতাভোগী নয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৬
Share: Save:

চাঁদনি চকের হালুইকর, লোকশিল্পীর বাদ্যি, যজ্ঞ-আরতি— কংগ্রেস দফতর সেজে উঠছে শনিবারের বারবেলার জন্য। কালই সনিয়া গাঁধীর হাত থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব নেবেন রাহুল গাঁধী। তার আগে আজই ‘অবসর’-এর কথা শোনালেন সনিয়া।

সংসদের প্রথম দিনে সনিয়াকে প্রশ্ন করা হয়, রাহুল তো সভাপতির দায়িত্ব নিচ্ছেন, এ বার আপনার ভূমিকা কী হবে? জবাবে একগাল হেসে সনিয়া বলেন, ‘‘গত তিন বছর ধরেই দলের সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সক্রিয় ভূমিকা ছিল রাহুলের। এ বার আমার ভূমিকা হবে অবসর নেওয়ার।’’ রাহুলের অভিষেকের এক দিন আগে সনিয়ার মুখে ‘অবসর’-এর কথা শুনেই চাঞ্চল্য পড়ে যায় গোটা কংগ্রেস শিবিরে। তা হলে কি সনিয়া রাজনীতি থেকেই অবসর নিচ্ছেন? দলের ‘মেন্টর’ বা ‘ইউপিএ চেয়ারপার্সন’-এর ভূমিকাতেও থাকবেন না? সামনের লোকসভা নির্বাচনে তা হলে রায়বরেলী আসনে কি সনিয়ার পরিবর্তে লড়বেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রা?

সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়েই কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরি বলেন, ‘‘আমরা কোনও ভাবেই চাই না, সনিয়া গাঁধী অবসর নিন। গাঁধী পরিবার কখনওই ক্ষমতাভোগী নয়। সনিয়া যে অবস্থাতেই থাকুন, তিনি আমাদের পথপ্রদর্শক হয়েই থাকবেন।’’ প্রিয়ঙ্কা সম্পর্কে সুস্মিতা দেব বলেন, ‘‘তিনি যখন সক্রিয় রাজনীতিতে আসবেন, স্বাগত।’’ শুধু কংগ্রেস নয়, ‘অবসর’-এর খবর হু হু করে ছড়িয়ে পড়ায় অন্য বিরোধী দলের নেতারাও বলতে থাকেন, বিরোধী-ঐক্য ধরে রাখতে সনিয়াকে চাই।

গোটা বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতে থাকায় তড়িঘড়ি আসরে নামতে হয় কংগ্রেস নেতৃত্বকে। দলের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘সনিয়া গাঁধী শুধুমাত্র কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অবসরের কথা বলেছেন। রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন না। তাঁর আশীর্বাদ, প্রজ্ঞা ও কংগ্রেসের আদর্শের প্রতি দায়বদ্ধতা সব সময়েই পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।’’

আরও পড়ুন: অমিতের পা পড়তেই রাজ্যসভায় জোর হাততালি

কংগ্রেস নেতাদের মতে, স্বাধীন ভারতে সব থেকে বেশি সময় ধরে কংগ্রেস সভাপতি পদে থাকার পরে দায়িত্ব এখন রাহুলের হাতে তুলে দিচ্ছেন সনিয়া। আজ আসলে অবসরের কথা মজার ছলেই বলেছেন তিনি। আগামিকাল আনুষ্ঠানিক ভাবে রাহুলের অভিষেক হয়ে গেলেও ইউপিএ চেয়ারপার্সন হিসেবে কাজ করবেন সনিয়া। এমনকী সভাপতি হয়ে রাহুল যে নতুন টিম তৈরি করবেন, সেটিও হবে সনিয়ার পরামর্শ নিয়ে। বিরোধী ঐক্যকে একজোট করার মুখ থাকবেন তিনিই। আর আগামী লোকসভায় রায়বরেলী থেকে যদি সনিয়া না-ও লড়েন, তা হলে সেই সময়ে ঠিক হবে, সেখানে কে প্রার্থী হবেন।

আগামিকাল সকালে কংগ্রেস দফতরের অনুষ্ঠানেও হাজির থাকছেন সনিয়া। সঙ্গে মনমোহন সিংহ। রাহুল, সনিয়া ও মনমোহন— তিনজনেই বক্তৃতা দেবেন। কংগ্রেস দফতরে সেই প্রস্তুতিও এখন জোরকদমে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE