এই সেই আলিঙ্গন। ছবি: পিটিআই।
স্ত্রী সারাকে সঙ্গে নিয়ে আজ দুপুরে দিল্লির পালম বিমানবন্দরে পা রাখলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রোটোকল ভেঙে তখন বিমানবন্দরে হাজির হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিমান থেকে নামতেই মোদী জড়িয়ে ধরলেন ‘বন্ধু’কে। আর সেই আলিঙ্গন ঘিরেই শুরু হয়ে গেল কটাক্ষ ও রাজনীতির চাপানউতোর।
নেতানিয়াহুকে মোদীর জড়িয়ে ধরার ছবি সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারের পরেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন দেশে সফরের সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প, শিনজো আবে-সহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাকে এত দিন কী ভাবে জড়িয়ে ধরেছেন মোদী, সেই সব ছবি দেওয়া হয় তাতে। মোদীর আলিঙ্গনের পাশাপাশি হলিউডি সিনেমায় নায়ক নায়িকাদের আলিঙ্গনের ছবিকেও রাখা হয় সেখানে। কংগ্রেসের টুইটারে লেখা হয়, ‘‘আমরা মোদীর আরও আলিঙ্গন দেখার অপেক্ষায়।’’
পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায় বিজেপিও। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘‘প্রধান বিরোধী দলের থেকে এমন ব্যবহার আমরা আশা করিনি। ভাবতেও পারিনি অন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতে রয়েছেন যখন, সেই সময়ে কংগ্রেস এই ধরনের টুইট করতে পারে।’’ পরে বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরও কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, ‘‘আসলে ওদের বলার কিছু নেই। তাই এই ধরনের কাজ করেছে কংগ্রেস।’’
আরও পড়ুন: দু’দেশের সম্পর্কের পথে সমস্যা নয় জেরুসালেম
তবে নেতানিয়াহুকে মোদীর আলিঙ্গন ঘিরে কংগ্রেসের কটাক্ষের মধ্যেই দুই প্রধানমন্ত্রীকে দেখা যায় তিন মূর্তি মার্গের নাম বদলের অনুষ্ঠানে। পরে নেতানিয়াহু ও তাঁর স্ত্রী সারার জন্য নিজের বাসভবন ৭ নম্বর লোককল্যাণ মার্গে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন মোদী। এটা ছিল তাঁদের ব্যক্তিগত নৈশভোজ। পরে টুইটারে মোদী এই নৈশভোজের কথা তুলে ধরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
মোদীকে ঘিরে এই ধরনের কটাক্ষ নতুন নয়। গুজরাতের ভোটের আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চা বিক্রেতা নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে ছবি দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের যুব সংগঠনের মুখপত্রে। বিতর্কও হয়েছিল। পরে তা তুলে নেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy