রাইসিনা সংলাপ শেষ হতে না হতেই চিনের সঙ্গে নরম গরম বাদানুবাদ শুরু হয়ে গেল নয়াদিল্লির।
গত সোমবার চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আমেরিকা ও ভারতের প্রতি কটাক্ষ করে বলেছিলেন, পরমাণু সম্প্রসারণ বিরোধী চুক্তিতে (এনপিটি) সই না-করা কোনও দেশকে পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী সংস্থায় (এনএসজি) ঢোকানোর বিষয়টি ওবামা প্রশাসনের ‘বিদায়ী উপহার’ হতে পারে না। আজ এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপের মন্তব্য, ‘‘ভারত এনএসজি-র সদস্যপদ কোনও উপহার হিসেবে চাইছে না। নিজেদের সম্প্রসারণ বিরোধী রেকর্ডের ভিত্তিতেই এটা চাওয়া হচ্ছে। আর এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান বহুবার বহু জায়গায় জানানোও হয়েছে।’’
এনএসজি নিয়ে বাদানুবাদের পাশাপাশি সমান্তরাল ভাবে বেজিং-এর প্রতি একটি সহযোগিতার বার্তাও দিয়ে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’দিন আগে রাইসিনা সংলাপে তিনি বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে মতপার্থক্য স্বাভাবিক ঘটনা। তবে ভারত এবং চিনের সহযোগিতা বাড়লে এই অঞ্চলই শুধু নয়, উপকৃত হবে বিশ্ব। আজ এই মন্তব্যের সূত্র ধরে চিনও পাল্টা সৌজন্য দেখিয়েছে। চিনা মুখপাত্র হুয়া চুনইং সে দিনের থেকে আজ ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক মন্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। দু’দেশের সাধারণ স্বার্থের ক্ষেত্রে সহমত হতে পারলে, মতপার্থক্যকে দূরে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব।’’ তাঁর বক্তব্য, এনএসজি-তে ভারতের যোগ দেওয়া কিংবা জইশ নেতা মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করার মতো বিষয়গুলি দু’দেশের সম্পর্কে বাধা তৈরি করতে পারবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy