কৃষক মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে। গুজরাতে চাষিদের আত্মহত্যা নিয়ে বিধানসভায় সম্প্রতি দু’রকম তথ্য দিয়েছে গুজরাত সরকারের দুই দফতর।
গুজরাতের কৃষক আত্মহত্যার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। গত মাসে এ নিয়ে গুজরাত সরকারের জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আদালতকে জানিয়েছিল খরায় ফসলের ক্ষতি আর ঋণের বোঝা টানতে না পেরে গুজরাতের বহু কৃষক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতেই গুজরাত সরকারের প্রতিক্রিয়া তলব করেছিল সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে রাজ্যের দুই দফতর সম্পূর্ণ দু’রকম তথ্য দেওয়ায় নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে। সেচ দফতর জানিয়েছিল, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে রাজ্যের চাষবাস সংক্রান্ত কারণে কোনও কৃষকই আত্মহত্যা করেননি। অন্য দিকে, গুজরাতের স্বরাষ্ট্র দফতর দাবি করেছে, ঠিক ওই পাঁচ বছরের মধ্যে রাজ্যের মোট ১২৫ জন চাষি আত্মহত্যা করেছেন। যার মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ফসলের ক্ষতি আর ঋণ সংক্রান্ত কারণে। তারা আরও জানিয়েছে, বেশির ভাগ মৃত্যুই হয়েছে ২০১২ থেকে ’১৩ সালের মধ্যে। সেচ ও স্বরাষ্ট্র দফতর অবশ্য একটি বিষয়ে এক মত। তারা জানাচ্ছে, বেশি কৃষক আত্মহত্যা ঘটেছে সৌরাষ্ট্র, জুনাগড় আর জামনগরের মতো জেলায় যেখানে জল সঙ্কট গত কয়েক বছরে তীব্র আকার নিয়েছে।
বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়কদের প্রশ্নের উত্তরেই এই দুই দফতর এমন তথ্য পেশ করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই রাজ্যের সেচ এবং সমবায় দফতরের মুখ্যসচিব রাজকুমারের বক্তব্য, “স্বরাষ্ট্র দফতর আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। আমাদের অফিসারেরা কৃষকের বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। আমাদের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy