সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রবিবার।
সোমবার থেকে সংসদে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। সেখানে জিএসটি, ডোকা লা-র পাশাপাশি দেশজুড়ে গোরক্ষকদের তাণ্ডবের বিষয় নিয়েও বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে পারে কেন্দ্র। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সংসদ ভবনে ওই সর্বদলীয় বৈঠকে গো-রক্ষা ইস্যুতে ফের কঠোর বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, “গোরক্ষার নামে মানুষ খুন কিছুতেই বরদাস্ত করা যায় না। কেউই নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারে না।’’ পাশাপাশি, গোরক্ষকদের তাণ্ডব বন্ধে রাজ্যগুলিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেন। গত মাসেই গোরক্ষা ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গুজরাতের সাবরমতী আশ্রমের এক অনুষ্ঠানে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজের বেদনা ও অসন্তোষের কথা ব্যক্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সর্বদল বৈঠকের পর নরেন্দ্র মোদী, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা-সহ অন্যান্য নেতা।
এ দিন সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘দেশে গোরক্ষার জন্য আইন আছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে গোরক্ষার নামে অপরাধ মেনে নেওয়া হবে না। রাজ্যগুলিকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ তিনি বলেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে গোরক্ষাকে ধর্মীয় বিষয় বলে দাবি করছে। এতে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির ক্ষতি হচ্ছে। গোরক্ষাকে রাজনৈতিক বা ধর্মীয় রঙ দেওয়া ঠিক নয়। এতে দেশের কোনও লাভ হবে না। এটা বন্ধ করার জন্য সবাইকে এক যোগে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান মোদী।
আরও পড়ুন: গরু পেটানোর প্রতিবাদ করায় পাচারকারীদের হাতে আক্রান্ত পর্যটক দল
গত মাসেও গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও দেশের একাধিক জায়গায় গোরক্ষকদের তাণ্ডব কমার কোনও লক্ষণই নেই। গতকালই সামনে আসে, উত্তরপ্রদেশে ট্রেনের মধ্যে এক মুসলিম পরিবারের উপর হামলার ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করতে পিছপা হয়নি বিরোধীরা। এ বার দেশজুড়ে সমালোচনার মধ্যেই আজ ফের এ বিষয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী।
ছবি: পিটিআই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy