Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

রামদেবের দাড়ি টেনে ধরলেন দলাই লামা, তার পর?

দলাই লামার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর রামদেবের বক্তব্য রাখার কথা ছিল। এ সময়ই ঘটে যায় একটু অন্য ধরনের ঘটনা।

মুম্বইয়ে বিশ্ব শান্তি ও একতা সম্মেলনে দলাই লামা এবং রামদেব। ছবি: সংগৃহীত।

মুম্বইয়ে বিশ্ব শান্তি ও একতা সম্মেলনে দলাই লামা এবং রামদেব। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৭ ২১:৪৩
Share: Save:

এক জন ধর্মগুরু। অন্য জন যোগগুরু। দু’জনের সম্পর্কটা ঠিক কেমন তা এত দিন হয়তো অজানাই ছিল। রবিবার মুম্বইয়ে বিশ্বশান্তি ও একতা সম্মেলনে বোঝা গেল, যোগগুরু রামদেব এবং বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামার সম্পর্কের রসায়ন ঠিক কতটা গভীরে। এ দিন হাল্কা মেজাজে দেখা গেল দুই গুরুকে। বিশ্বশান্তি নিয়ে গুরুগম্ভীর আলোচনার মাঝেই দলাই লামাকে দেখা গেল হাল্কা মেজাজে। রামদেবের সঙ্গে রসিকতায় মাতলেন তিনি।

মুম্বইয়ে ‘ওয়ার্ল্ড পিস অ্যান্ড হারমনি’র অনুষ্ঠান। মঞ্চে তখন পীযূষ গয়াল, হর্ষবর্ধন, ধর্মেন্দ্র প্রধানদের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। শান্তি এবং সম্প্রীতি নিয়ে জোরদার আলোচনা চলছে। এক এক করে ভাষণ দিচ্ছেন বিশিষ্টরা। দলাই লামার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর রামদেবের ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। সে সময়ই ঘটে ঘটনাটা। দলাই লামার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর বাবা রামদেব তিব্বতি ধর্মগুরুর পায়ে হাত রেখে প্রণাম করতে যান।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে উপহার ভারতীয় ব্যান্ডের

বিনয়ের সঙ্গে রামদেবকে জড়িয়ে ধরেন দলাই লামা। তার পর উষ্ণ আলিঙ্গন। এর পরই সকলকে চমকে দেন দলাই লামা। প্রথমে রামদেবের দাড়িতে হাত বোলাতে শুরু করেন। রামদেব হয়তো ভেবেছিলেন ব্যাপারটা এখানেই শেষ হবে। কিন্তু তা নয়। রামদেবের দাড়ি ধরে রীতিমতো টানাটানি শুরু করে দেন তিব্বতি ধর্মগুরু। তবে শুধু রামদেবের দাড়িতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি দলাই লামার রসিকতা। রামদেবের পেটে আলতো করে টোকাও মারেন তিনি। রামদেবও তাঁর নিজস্ব জনপ্রিয় যোগাসনের ভঙ্গিতে পেটের পেশিগুলিকে নাচাতে থাকেন। এমন দৃশ্য দেখে দর্শকদের মধ্যে হাসির রোল ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি এখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।

দেখুন সেই ভিডিও

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE