ফাইল চিত্র।
পাকিস্তান তো রয়েছেই। দোসর চিন। দুই প্রতিবেশী যখন লাগাতার চোখ রাঙাচ্ছে, সেই সময় সীমান্তে সেনাবাহিনীর হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি। এর জন্য খরচ হবে প্রায় ৫ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা।
সীমান্তে উত্তেজনার কথা মাথায় রেখে ২০০৫ সাল থেকেই নয়া অ্যাসল্ট রাইফেলের দাবি জানিয়ে আসছে সেনাবাহিনী। অত্যাধুনিক লাইট মেশিনগানের দাবি উঠছিল সেই ২০০৯ সালে। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। কখনও অস্ত্রের গুণমান নিয়ে জটিলতা, তো কখনও দেদার দুর্নীতির অভিযোগে থমকে গিয়েছিল অস্ত্রের সওদা।
অবশেষে ঠিক হয়েছে, সীমান্তে সেনাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ৭২ হাজার ৪০০টি অ্যাসল্ট রাইফেল, ৯৩ হাজার ৮৯৫ টি কার্বাইন এবং ১৬ হাজার ৪৭৯টি লাইট মেশিনগান কেনা হবে। যদিও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যা দেওয়া হচ্ছে, তার তুলনায় অনেক বেশি অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। সত্যি সত্যিই যদি সীমান্তে মোতায়েন সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজতে হয়, তবে আট লক্ষেরও বেশি অ্যাসল্ট রাইফেল দরকার। প্রয়োজন রয়েছে সাড়ে চার লক্ষ কার্বাইন।
আরও পড়ুন: ৫০ লক্ষ প্রাক্তন সেনার বায়োমেট্রিক তথ্য কি বেসরকারি হাতে?
আরও পড়ুন: হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের, নোটিস পেল অ্যানালিটিকা
তুলনায় যা দেওয়া হচ্ছে তা অনেকটাই কম বলে মনে করা হচ্ছে। তবুও সেনাহাবাহিনীর আশা, হয়ত এটাই শুরু। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের ছাড়পত্র পেলেই বিদেশি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে দরপত্রের আহ্বান করা হবে। নতুন অস্ত্র এসে যাবে তিন মাস থেকে এক বছরের মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy