আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করার প্রশ্নে এমনিতেই সংসদে-সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ছিল মোদী সরকার। তার মধ্যেই আজ মহেন্দ্র সিংহ ধোনির আধার-সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় নতুন করে অস্বস্তিতে কেন্দ্র।
ধোনির স্ত্রী সাক্ষী আজ টুইটারে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের কাছে অভিযোগ করেন, ধোনির আধার-সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। কারণ যে সংস্থাটি ধোনির আধার তৈরির জন্য তথ্য সংগ্রহ করেছিল, তারাই আধারের ফর্মের ছবি টুইটারে পোস্ট করে দেয়। ধোনি নিজের ‘বায়োমেট্রিক’ তথ্য দিচ্ছেন, সেই ছবিও টুইটারে দেওয়া হয়। তাতে আবার রবিশঙ্কর প্রসাদ ‘লাইক’ও করেছিলেন। এর পরেই সাক্ষী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘গোপনীয়তার আর বাকি কী রইল? আধার-সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য, আবেদন ফর্মও প্রকাশ্যে চলে এসেছে।’’ ভুল বুঝতে পেরে ওই সংস্থাটিকে ১০ বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আধার-কর্তৃপক্ষ।
তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। সংসদে এ নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয় অরুণ জেটলি-রবিশঙ্কর প্রসাদকে। ধোনির উদাহরণ দিয়েই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম যুক্তি দেন, ‘‘পেন্টাগনও হ্যাকিংয়ের মুখে পড়েছে। এ দিকে সরকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা বা আয়কর রিটার্ন ফাইলে আধার বাধ্যতামূলক করছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা আয়কর সংক্রান্ত তথ্য হ্যাকিংয়ে বেরিয়ে যাবে না, তার গ্যারান্টি কী?’’ জেটলি জবাব দেন, ‘‘আধার না থাকলেও পেন্টাগনে হ্যাক হয়েছে। আধার ছিল বলে হ্যাকিং হয়েছে, তা নয়।’’ চিদম্বরম জবাব দেন, ‘‘প্রশ্ন নিয়ে ব্যঙ্গ করবেন না। বিষয়টাকে লঘু করার দরকার নেই। আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে না চাইলে দেবেন না।’’ জেটলি তখন বলেন, ‘‘ব্যঙ্গ নয়। যদি সুরক্ষাবলয় ভেঙে পড়ে তা হলে তা যে কোনও ক্ষেত্রেই হতে পারে। আধার না থাকলেও হতে পারে। তার জন্য আধার থাকবে না, এটা যুক্তি হতে পারে না।’’
আরও পড়ুন: ঝাঁপ পড়ল কেএফসি-রও
তবে চাপের মুখে আধার চালু করার কৃতিত্ব ইউপিএ সরকারকে দিয়েছেন জেটলি। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘আধার নিয়ে আমাদের কিছু সংশয় ছিল। সরকারের আসার পর তা দূর করে নিয়েছি। বুঝতে পেরেছি, এটা ভাল উদ্যোগ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy