৪ জানুয়ারির মণিপুর ভূমিকম্প চিন্তায় রেখেছে বরাক উপত্যকাকে। শুধু যে সাধারণ জনতা আতঙ্কে ভুগছেন, তা নয়। ভাবছেন প্রশাসনিক কর্তা, শিক্ষাবিদ, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাও। কয়েকদিন আগে মণিপুর ঘেষা অসমের লক্ষ্মীপুর মহকুমায় দুর্যোগ মোকাবিলায় বড়সড় মহড়া প্রদর্শন করে জেলা প্রশাসন। আজ শুরু হয়েছে তিনদিনের ইঞ্জিনিয়ার প্রশিক্ষণ। এর উদ্যোক্তা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট এবং শিলচর এনআইটি।
আজ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভূমিকম্প নিয়ে উদ্বেগ লুকিয়ে রাখতে পারেননি কেউ। জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন থেকে প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষার্থী সকলেই বলেন, সে জন্য সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। আর সেই জন্যই সরকারের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ৩২জন কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ৩৬ জন এনআইটি পড়ুয়াও। প্রশিক্ষক হিসেবে এসেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট-এর অধ্যাপক চন্দন ঘোষ, আমির আলি খান ও শিলচর এনআইটি-র নিতেশ এ। শিলচর এনআইটি-র ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর এ কে সিংহও উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন। তিনজনই প্রথম দিনের প্রশিক্ষণে বলেন, এই অঞ্চলে পরপর অনেকগুলি ছোট-বড় ভূমিকম্পের লক্ষণ ভালো ঠেকছে না। কিন্তু ভূমিকম্পের পূর্বানুমান সম্ভব নয়। এই অবস্থায় ইঞ্জিনিয়াররাই বহু প্রাণ বাঁচাতে পারেন। কীভাবে তা সম্ভব, এর বিস্তৃত ব্যাখ্যায় তাঁরা সমস্ত নিয়মনীতি মেনে ভূমিকম্প প্রতিরোধী দালানবাড়ি তৈরির পরামর্শ দেন। বলেন, অনেক সময় ইঞ্জিনিয়াররা প্রস্তাবিত দালানের ডিজাইনে অনুমোদন জানিয়েই দায় শেষ করেন। ডিজাইন ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কিনা, তা আর খেয়াল রাখা হয় না। অনুমোদনের চেয়ে তদারকি বেশি জরুরি বলে মন্তব্য করেন তাঁরা। নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারেও সতকর্তা মেনে চলতে বলেন তাঁরা।
তিনদিনের কর্মশালার শুরুতেই শিলচর শহরের সরকারি-বেসরকারি বহু দালানবাড়ির নির্মাণকাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বেশ কিছু দালানের ছবি দেখিয়ে তাঁরা জানান, সেগুলি ভূমিকম্পের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এখনই এদের পরীক্ষানিরীক্ষা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy