এম কে স্ট্যালিন
জিমে ওয়ার্ক আউট করছেন। কসরতের সেই ভিডিও তার পরে নিজেই প্রকাশ করেছেন ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন। কিন্তু কেন? নিন্দুকরা বলছেন, হয়তো উনি ভেবেছিলেন এতে তাঁর জনসংযোগ বাড়বে। বিশেষ করে তামিলনাড়ুর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর এটাই সহজ উপায়— এমনটাই হয়তো মনে হয়েছে তাঁর।
কিন্তু তাঁর এই কাজে মোটেই খুশি নয় ডিএমকে নেতৃত্বের একাংশ। তাঁদের মতে, এর কোনও প্রয়োজন ছিল না। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ৬৪ বছরের স্ট্যালিন ডাম্বেল তুলছেন। আর ভিডিও বার্তায় লেখা রয়েছে, ‘‘আত্মবিশ্বাস এবং প্রচেষ্টাই ঠিক করে দেয় আপনি কেমন হবেন।’’ কিন্তু কেন এমন বার্তা, তা নিয়ে অবাক অনেকেই। ডিএমকে মুখপাত্র এ সর্বানন বলছেন, ‘‘স্ট্যালিন কড়া ডায়েট এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে তিনি কতটা স্বাস্থ্য সচেতন।’’ সর্বাননের দাবি, জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য এম কে স্ট্যালিনকে এ সব করতে হয় না। তিনি এমনিতেই শীর্ষ নেতা। কিন্তু ডিএমকে-র অন্য নেতাদের বক্তব্য, স্ট্যালিনকে ভুল পথে চালিত করছে তাঁর জনসংযোগকারী দল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিএমকে নেতার মন্তব্য, ‘‘আমাদের দল ৭০ বছরের পুরনো। বরং দলের মতাদর্শ প্রচারে মন দেওয়া উচিত স্ট্যালিনের।’’
২০১৪-তে লোকসভা ভোটের সময়ে জনসংযোগকারী এই দল দেওয়া হয়েছিল স্ট্যালিনকে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে ডিএমকে প্রায় ধুয়েমুছে সাফ গেলে ২০১৬-য় বিধাসনভা ভোটকে পাখির চোখ করেন স্ট্যালিন। পদযাত্রা, মানুষের সঙ্গে দেখা করা, উপজাতিভুক্ত মানুষের সঙ্গে নাচে যোগদান ইত্যাদি শুরু করেন। যোগাসনের মাধ্যমে প্রচারে টানার হিড়িক শুরু হয় তখন। এই দলই নাকি নরেন্দ্র মোদীর হয়ে এক সময় কাজ করেছে। কিন্তু তারা ২০১৬ সালেও ডিএমকে-র জয় নিশ্চিত করতে পারেনি। এখন তামিল রাজনীতিতে রজনীকান্ত এবং কমল হাসনের মতো তারকার আনাগোনা শুরু হওয়ায় লড়াই আরও কঠিন হয়েছে। তাই ডিএমকে-র একাংশের মত, স্ট্যালিন এ ভাবেই মানুষের কাছে পৌঁছে বোঝাতে চান, তিনি কত বৈচিত্রপূর্ণ নেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy